ইসলামী পাঠাগার - المكتبة الإسلامية

আল্লাহর উপর ভরসা

<span style="color: #993300; font-size: small;"></span><br />
<center>
<span style="color: #993300; font-size: small;">রহমান রহীম আল্লাহ্‌ তায়ালার নামে- </span></center>
<br /><br />
<div style="text-align: right;">
<strong><a href="http://i2.wp.com/www.quraneralo.com/wp-content/uploads/2013/06/allah.jpg"><img alt="allah" class="aligncenter size-full wp-image-4528 tie-appear" height="448" src="http://i2.wp.com/www.quraneralo.com/wp-content/uploads/2013/06/allah.jpg?resize=400%2C448" width="400" /></a> অনুবাদকঃ শাইখ মুহা: আবদুল্লাহ আল কাফী</strong></div>
<div style="text-align: justify;">
আল্লাহ্ তাআলার উপর ভরসা ইসলামে একটি 
বিরাট বিষয়। এর গুরুত্ব ও মর্যাদা অপরিসীম। আল্লাহর প্রতি ভরসা ছাড়া কোন 
বান্দাই কোন মূহুর্ত অতিবাহিত করতে পারে না। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতও 
বটে। কেননা এর মাধ্যমে আল্লাহর তাওহীদের সাথে সম্পর্ক গাড় ও গভীর হয়। 
আল্লাহ্ বলেন:</div>
<h3 style="text-align: center;">
<span style="color: maroon;"><strong> وَتَوَكَّلْ عَلَى الْحَيِّ الَّذِي لَا يَمُوتُ </strong></span></h3>
<div style="text-align: center;">
<span style="color: maroon;"><strong>“আর ভরসা কর সেই জীবিত সত্বার (আল্লাহর) উপর, যিনি কখনো মৃত্যু বরণ করবেন না।” [সূরা ফুরক্বান-৫৮]</strong></span></div>
<div style="text-align: justify;">
এই আয়াতে আল্লাহ্ তাআলা নবী 
(ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে তাঁর উপর ভরসা করার আদেশ করেছেন। 
তিনি ছাড়া অন্য কারো নিকট নিজেকে পেশ করবেন না। কেননা তিনি চিরঞ্জীব, তাঁর
 মৃত্যু নেই। তিনি পরাক্রমশালী, কোন কিছুই তাঁকে পরাজিত করতে পারে না। যে 
ব্যক্তিই তাঁর উপর নির্ভর করবে তার জন্য তিনিই যথেষ্ট হবেন- তাকে সাহায্য ও
 সমর্থন করবেন। আর যে ব্যক্তি আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কারো উপর ভরসা করবে, সে 
তো এমন কিছুর উপর ভরসা করল যে মৃত্যু বরণ করবে, বিলীন ও ক্ষয় হয়ে যাবে। 
দুর্বলতা ও অপারগতা তাকে চারদিক থেকে ঘিরে রয়েছে। এ কারণে তার প্রতি ভরসা 
কারীর আবেদন বিনষ্ট হয়ে যায়, সে হয়ে যায় দিশেহারা।</div>
<div style="text-align: justify;">
এ থেকেই বুঝা যায় আল্লাহর উপর ভরসা করার ফযীলত ও মর্যাদা কি?! তাঁর সাথে হৃদয়ের সম্পর্ককে গভীর করার গুরুত্ব কতটুকু?!</div>
<div style="text-align: justify;">
<span style="color: #993300;"><strong>‘তাওয়াক্কুল আল্লাহ বা আল্লাহর উপর ভরসা করার অর্থ:</strong> </span></div>
<div style="text-align: justify;">
দুনিয়া-আখেরাতের যাবতীয় বিষয়ের কল্যাণ 
লাভ ও ক্ষতি থেকে বাঁচার জন্য সঠিক ভাবে অন্তর থেকে আল্লাহর উপর নির্ভর 
করা। বান্দা তার প্রতিটি বিষয় আল্লাহর উপর সোপর্দ করবে। ঈমানে এই দৃঢ়তা 
আনবে যে, দান করা না করা, উপকার-অপকার একমাত্র তিনি ছাড়া আর কারো অধিকারে 
নেই।</div>
<div style="text-align: justify;">
আল্লাহ্ তাআলা মুমিন বান্দাদেরকে 
তাওয়াক্কুলের প্রতি উদ্বুদ্ধ করে পবিত্র কুরআনে অনেক আয়াত উল্লেখ করেছেন।
 তার মর্যাদা ও ফলাফল উল্লেখ করেছন। তন্মধ্যে:</div>
<div style="text-align: justify;">
আল্লাহ্ বলেন:</div>
<h3 style="text-align: center;">
<strong><span style="color: maroon;"> وَعَلَى اللَّهِ فَتَوَكَّلُوا إِنْ كُنتُمْ مُؤْمِنِينَ </span></strong></h3>
<div style="text-align: center;">
<strong><span style="color: maroon;">“তোমরা যদি মুমিন হয়ে থাকে তবে আল্লাহর উপরেই ভরসা কর।” [সূরা মায়েদা- ২৩]</span> </strong></div>
<div style="text-align: justify;">
তিনি আরও বলেন:</div>
<h3 style="text-align: center;">
<strong><span style="color: maroon;">وَعَلَى اللَّهِ فَلْيَتَوَكَّلْ الْمُؤْمِنُونَ </span></strong></h3>
<div style="text-align: center;">
<strong><span style="color: maroon;">“মু’মিনগণ যেন একমাত্র আল্লাহর উপরেই ভরসা করে।” [সূরা তওবা- ৫১] </span></strong></div>
<div style="text-align: justify;">
তিনি আরও এরশাদ করেন:</div>
<h3 style="text-align: center;">
<strong><span style="color: maroon;"> وَمَنْ يَتَوَكَّلْ عَلَى اللَّهِ فَهُوَ حَسْبُهُ </span></strong></h3>
<div style="text-align: center;">
<strong><span style="color: maroon;">“যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ভরসা করবে, তিনিই তার জন্য যথেষ্ট হবেন।” [সূরা ত্বলাক- ৩]</span> </strong></div>
<div style="text-align: justify;">
তিনি আরও বলেন:</div>
<h3 style="text-align: center;">
<span style="color: maroon;"><strong> فَإِذَا عَزَمْتَ فَتَوَكَّلْ عَلَى اللَّهِ إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الْمُتَوَكِّلِينَ </strong></span></h3>
<div style="text-align: center;">
<span style="color: maroon;"><strong>“যখন তুমি দৃঢ়ভাবে ইচ্ছা করবে, তখন আল্লাহর উপর ভরসা করবে। নিশ্চয় আল্লাহ্ ভরসা কারীদের ভালবাসেন।” [সূরা আল ইমরান- ১৫৯]</strong></span></div>
<div style="text-align: justify;">
হাদীছ গ্রন্থ সমূহেও তাওয়াক্কুলের 
গুরুত্ব ও তার প্রতি উদ্বুদ্ধ করে অনেক হাদীছ বর্ণিত হয়েছে। ওমার বিন 
খাত্তাব (রা:) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি 
ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, <span style="color: #3366ff;">“তোমরা যদি সঠিকভাবে 
আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করতে তবে তিনি তোমাদেরকে রিযিক দান করতেন- যেমন 
পাখিকে রিযিক দান করে থাকেন- তারা খালি পেটে সকালে বের হয় এবং পেট ভর্তি 
হয়ে রাতে ফিরে আসে।”</span> (আহমাদ, তিরমিযী, নাসাঈ ও ইবনু মাজাহ্)</div>
<div style="text-align: justify;">
হাফেয ইবনু রজব (র:) বলেন, তাওয়াক্কুলের 
ক্ষেত্রে এ হাদীছটিই হল মূল। আর তাওয়াক্কুলই হল জীবিকা পাওয়ার অন্যতম 
মাধ্যম। আল্লাহ্ তা’আলা বলেন,</div>
<h3 style="text-align: center;">
<strong><span style="color: maroon;">وَمَنْ
 يَتَّقِ اللَّهَ يَجْعَلْ لَهُ مَخْرَجًا وَيَرْزُقْهُ مِنْ حَيْثُ لَا 
يَحْتَسِبُ وَمَنْ يَتَوَكَّلْ عَلَى اللَّهِ فَهُوَ حَسْبُهُ</span></strong></h3>
<div style="text-align: center;">
<strong><span style="color: maroon;">“আর
 যে আল্লাহ্‌কে ভয় করে, আল্লাহ্ তার জন্যে নিষ্কৃতির পথ করে দেবেন। এবং 
তাকে তার ধারণাতীত জায়গা থেকে রিযিক দেবেন। যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ভরসা 
করে তার জন্য তিনিই যথেষ্ট।” [সূরা ত্বালাক-২,৩]</span></strong></div>
<div style="text-align: justify;">
জাবের বিন আবদুল্লাহ্ (রা:) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরশাদ করেন, <span style="color: #3366ff;">“কোন
 প্রাণী তার নির্দিষ্ট রিযিক পরিপূর্ণরূপে না পাওয়া পর্যন্ত সে মৃত্যু বরণ
 করবে না। সুতরাং তোমরা আল্লাহ্‌কে ভয় কর এবং রিযিক অনুসন্ধানের জন্য 
সুন্দর (বৈধ) পন্থা অবলম্বন কর। যা তোমাদের জন্য হালাল করেছেন তা গ্রহণ 
কর,আর যা হারাম করেছেন তা পরিত্যাগ কর।”</span> (ইবনু মাজাহ্, হাকেম ও ইবনু হিব্বান)</div>
<div style="text-align: justify;">
ওমার (রা:) বলেন, <span style="color: green;">“বান্দা
 এবং তার রিযিকের মধ্যে একটি পর্দা রয়েছে। সে যদি অল্পে তুষ্ট হয় এবং তার
 আত্মা সন্তুষ্ট হয় তবে তার রিযিক তার কাছে সহজে আগমন করবে। আর যদি 
সীমালঙ্ঘন করে এবং উক্ত পর্দাকে ফেড়ে ফেলে, তবে তার নির্দিষ্ট রিযিকের 
অতিরিক্ত কোন কিছু তার নিকট পৌঁছবে না।”</span></div>
<div style="text-align: justify;">
জনৈক বিদ্বান বলেন:<span style="color: green;"> “তুমি আল্লাহর উপর ভরসা কর, রিযিক তোমার কাছে ক্লান্তি ও অতিরিক্ত কষ্ট ছাড়া সহজেই এসে যাবে।”</span></div>
<div style="text-align: justify;">
এখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা স্মরণ রাখতে 
হবে যে, বিশুদ্ধভাবে আল্লাহর উপর ভরসার সাথে আবশ্যক হল, জীবিকার 
উপায়-উপকরণ অনুসন্ধান করা ও কাজ করা- ভরসা করে বসে না থাকা। আল্লাহ্ 
তা’আলা বলেন,</div>
<div style="text-align: center;">
<span style="color: maroon;"><strong>وَاتَّقُوا اللَّهَ وَعَلَى اللَّهِ فَلْيَتَوَكَّلْ الْمُؤْمِنُونَ</strong></span></div>
<div style="text-align: center;">
<span style="color: maroon;"><strong>“তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, আর মু’মিনগণ যেন আল্লাহর উপরই ভরসা করে।” [সূরা মায়েদা-১১]</strong></span></div>
<div style="text-align: justify;">
এখানে ভরসা করার সাথে সাথে আল্লাহকে ভয় 
করার কথা বলা হয়েছে। আর তা নির্দেশিত যাবতীয় বিষয়ের উপকরণকে শামিল করছে।
 সুতরাং নির্দেশিত উপকরণ অবলম্বন না করে বা কাজ না করে শুধু ভরসা করে বসে 
থাকা বিরাট ধরণের অপারগতা- যদিও এতে তাওয়াক্কুল পাওয়া যায়। সুতরাং কোন 
বান্দার জন্য উচিত নয় যে,ভরসাকে অপারগতায় রূপান্তরিত করবে অথবা অপারগতাকে
 ভরসায় রূপান্তরিত করবে। বরং যে সমস্ত উপকরণ সে অবলম্বন করবে তার মধ্যে 
ভরসাও শামিল থাকবে।</div>
<div style="text-align: justify;">
এ অর্থে একটি হাদীছও বর্ণিত হয়েছে। আনাস (রা:) হতে বর্ণিত,তিনি বলেন: <span style="color: #3366ff;">জনৈক
 ব্যক্তি জিজ্ঞেস করল,হে আল্লাহর রাসূল! উটটিকে বাঁধার পর আল্লাহর উপর ভরসা
 করব? নাকি আল্লাহর উপর ভরসা করে (না বেঁধেই) ছেড়ে দিব? তিনি 
(ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: “আগে তা বেঁধে দাও,তারপর 
আল্লাহর উপর ভরসা কর।”</span> (তিরমিযী)</div>
<div style="text-align: justify;">
এক্ষেত্রে একদল লোক বিভ্রান্তির মধ্যে 
পড়ে (প্রয়োজনীয় উপকরণ অবলম্বন না করে, কাজ না করে,পরিশ্রম না করে) 
নিজেদের অপারগতাকে ভরসা ভেবেছে, আর তাকেই ওযর বা ছুতা হিসেবে গ্রহণ করেছে। 
ফলে নিজের এবং পরিবারের অনেক অধিকার- ওয়াজিব বিষয় বিনষ্ট করেছে। নবী 
(ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: <span style="color: #3366ff;">“কোন
 ব্যক্তির পাপী হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, যাদের খরচ বহন করা তার উপর 
আবশ্যক তাদেরকে বিনষ্ট করা তথা তাদেরকে প্রয়োজনীয় খরচ না দেয়া।”</span> (আবু দাউদ)</div>
<div style="text-align: justify;">
এদের উদ্দেশ্য করে নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: <span style="color: #3366ff;">“শক্তিশালী
 মুমিন আল্লাহর নিকট দুর্বল মুমিনের চাইতে অধিক উত্তম ও বেশী প্রিয়। অবশ্য
 উভয়ের মধ্যে কল্যাণ রয়েছে। উপকারী বিষয়ের প্রতি আগ্রহী হবে এবং তা 
হাসিল করার জন্য আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করবে,অপারগতা প্রকাশ করবে 
না। যদি কোন ক্ষতি হয়ে যায়,তবে কখনই এরূপ বলবে না যে, ‘যদি’ আমি এটা 
করতাম তবে এরূপ এরূপ হত। বরং তখন বলবে, আল্লাহ্ যা নির্ধারণ করেছেন এবং 
তিনি যা চান তাই করেন। কেননা ‘যদি’শয়তানের দরজা উন্মুক্ত করে।”</span> (ছহীহ্ মুসলিম)</div>
<div style="text-align: justify;">
উল্লেখ্য যে, ভরসার ক্ষেত্রে মানুষের 
দুর্বলতা একমাত্র তাক্বদীরের প্রতি ঈমানের দুর্বলতা থেকেই সৃষ্টি হয়। 
কেননা মানুষ যখন তার যাবতীয় বিষয় আল্লাহর কাছে সোপর্দ করে, আর তিনি যা 
ফায়সালা করেন তাতে সন্তুষ্ট হয়ে যায় ও তা পসন্দ করে, তাহলে সে প্রকৃত 
ভাবে তাওয়াক্কুল বাস্তবায়ন করবে। কিন্তু সে যদি আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কারো 
উপর ভরসা করে এবং তার সাথেই স্বীয় হৃদয়কে সংশ্লিষ্ট করে, তবে নি:সন্দেহে 
সে লাঞ্ছিত হবে, স্বীয় মহান রব থেকে উদাসীন।</div>
<div style="text-align: justify;">
ইবনু মাসঊদ (রা:) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: <span style="color: #3366ff;">“কোন
 ব্যক্তি যদি অভাবী হয়, অত:পর তার অভাবের কথা মানুষের কাছে পেশ করে, তবে 
তার অভাব দুর করা হবে না। আর যে ব্যক্তি তা আল্লাহর কাছে পেশ করে, 
অনতিবিলম্বে আল্লাহ্ তাকে অভাব মুক্ত করে দিবেন।”</span> (আবু দাউদ )</div>
<div style="text-align: justify;">
শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনু তাইমিয়া (র:) বলেন: <span style="color: green;">কোন
 মাখলুকের কাছে যে ব্যক্তি আশা করবে এবং তার উপর ভরসা করবে, তার উক্ত ধারণা
 নি:সন্দেহে বাতিল হবে এবং সে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আর সে হবে মুশরিক।</span></div>
<div style="text-align: justify;">
আল্লাহ্ বলেন,</div>
<h3 style="text-align: center;">
<strong><span style="color: maroon;">وَمَنْ
 يُشْرِكْ بِاللَّهِ فَكَأَنَّمَا خَرَّ مِنْ السَّمَاءِ فَتَخْطَفُهُ 
الطَّيْرُ أَوْ تَهْوِي بِهِ الرِّيحُ فِي مَكَانٍ سَحِيقٍ</span></strong></h3>
<div style="text-align: center;">
<strong><span style="color: maroon;">“আর
 যে কেউ আল্লাহর সাথে শরীক করে সে যেন আকাশ থেকে আছড়ে পড়ল, অত:পর পাখি 
তাকে ছোঁ মেরে নিয়ে গেল, কিংবা বায়ু তাকে উড়িয়ে নিয়ে গিয়ে এক 
দূরবর্তী স্থানে নিক্ষেপ করল।” (সূরা হাজ্জ-৩১)</span></strong></div>
<div style="text-align: justify;">
শায়খ সুলায়মান বিন আবদুল্লাহ্ বিন আবদুল ওয়াহাব (র:) বলেন: তাওয়াক্কুল দুপ্রকার:</div>
<div style="text-align: justify;">
<strong>১) এমন বিষয়ে তাওয়াক্কুল করা- 
যে ব্যাপারে আল্লাহ্ ছাড়া কারো কোন ক্ষমতা নেই। যেমন, কোন কোন মানুষ মৃত 
ব্যক্তি এবং তাগুতের উপর ভরসা করে এই আশায় যে, তারা তাদেরকে সাহায্য করবে,
 তাদের জীবিকার ব্যবস্থা করবে, তাদের জন্য শাফাআত করবে… এগুলো সবই বড় শিরক
 যা ব্যক্তিকে ইসলাম থেকে বের করে দিবে।</strong></div>
<div style="text-align: justify;">
<strong>২) বাহ্যিক উপায়-উপকরণ ও বস্তুর 
উপর ভরসা করা। যেমন কোন আমীর বা বাদশার উপর ভরসা করা এমন বিষয়ে যা 
বাস্তবায়নের ক্ষমতা আল্লাহ্ তাকে দিয়েছেন। যেমন চাকরীর ব্যবস্থা করা বা 
নির্দিষ্ট কোন বিপদ দূর করা। এটা ছোট শিরকের অন্তর্ভুক্ত।</strong></div>
<div style="text-align: justify;">
বৈধ ভরসা হল- একজন মানুষ অপরজনকে তার পক্ষ
 থেকে কোন কাজ আদায় করার দায়িত্ব দেয়া। দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি উক্ত 
বিষয়ে সামর্থ্য রাখবে। এক্ষেত্রেও সে ব্যক্তির উপর পুরাপুরি নির্ভর করবে 
না। বরং উক্ত বিষয় বাস্তবায়নের জন্য সে নিজে এবং ভারপ্রাপ্ত ব্যক্তি 
আল্লাহর উপর ভরসা করবে।</div>
<div style="text-align: justify;">
<span style="color: #993300;">তাওয়াক্কুলের
 বাস্তবায়ন এবং বৈধ উপায়-উপকরণ অবলম্বন করার সাথে সাথে হৃদয়কে আল্লাহর 
সাথে সম্পৃক্ত করার জন্য এ উদাহরণটি উল্লেখযোগ্য:</span> <span style="color: #3366ff;">রাসূলুল্লাহ্
 (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হিজরতের সময় মদিনার দিকে যাওয়ার 
জন্য মক্কা থেকে উল্টা দিকে গমন করেন। আর তা ছিল রাতের আঁধারে। অত:পর তাঁরা
 ‘ছওর’নামক গুহায় আত্মগোপন করেন। আবু বকর (রা:) নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি 
ওয়া সাল্লাম)এর হিজরতের ঘটনা বর্ণনা প্রসঙ্গে বলেন, আমরা যখন ‘গারে ছওরে’ 
ছিলাম তখন আমি উপর দিকে দৃষ্টি দিয়ে দেখলাম মুশরেকদের পা আমাদের মাথার ঠিক
 উপরেই। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! তাদের কেউ যদি নিজের পায়ের দিকে 
তাকায় তাহলেই আমাদেরকে দেখতে পাবে। তখন তিনি আমাকে বললেন, “আমাদের দুজন 
সম্পর্কে তোমার ধারণা কি হে আবু বকর! আল্লাহ্ আমাদের তৃতীয় জন। অর্থাৎ 
আমাদের সাহায্যকারী।” (বুখারী ও মুসলিম)</span></div>
<div style="text-align: justify;">
যে কথা পবিত্র কুরআনে আল্লাহ্ এভাবে বর্ণনা করেছেন,</div>
<h3 style="text-align: center;">
<span style="color: maroon;"><strong>إِذْ
 أَخْرَجَهُ الَّذِينَ كَفَرُوا ثَانِيَ اثْنَيْنِ إِذْ هُمَا فِي الْغَارِ
 إِذْ يَقُولُ لِصَاحِبِهِ لَا تَحْزَنْ إِنَّ اللَّهَ مَعَنَا</strong></span></h3>
<div style="text-align: center;">
<span style="color: maroon;"><strong>“যখন
 তাকে কাফেররা বহিষ্কার করেছিল, তিনি ছিলেন দুজনের একজন, যখন তারা গুহার 
মধ্যে ছিলেন। তখন তিনি আপন সঙ্গীকে বললেন, বিষন্ন হয়ো না, আল্লাহ্ আমাদের 
সাথে আছেন।” (সূরা তওবাহ্-৪০)</strong></span></div>
<div style="text-align: justify;">
সুতরাং যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ভরসা 
করবে,সে অকল্পনীয় ভাবে তার মর্যাদা লাভ করবে,তার ফলাফল ভোগ করবে। আর সে 
হবে সর্বাধিক উন্মুক্ত হৃদয়ের মানুষ,সবচাইতে সুখী মানুষ। আল্লাহ্ বলেন,</div>
<h3 style="text-align: center;">
<span style="color: maroon;"><strong>وَمَنْ يَتَوَكَّلْ عَلَى اللَّهِ فَهُوَ حَسْبُهُ</strong></span></h3>
<div style="text-align: center;">
<span style="color: maroon;"><strong>“যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ভরসা করে তার জন্য তিনিই যথেষ্ট।” (সূরা ত্বালাক-৩)</strong></span></div>
<div style="text-align: justify;">
আল্লাহ্ আমাদেরকে তাঁর প্রতি সঠিকভাবে ভরসা করার তাওফীক দান করুন। আমীন॥</div>
</div>

আল্লাহর উপর ভরসা

রহমান রহীম আল্লাহ্‌ তায়ালার নামে- অনুবাদকঃ শাইখ মুহা: আবদুল্লাহ আল কাফী আল্লাহ্ তাআলার উপর ভরসা ইসলামে একটি বিরাট বিষয়। এর গুর...

কিতাবুত তাওহীদের ব্যাখ্যা – (জ্ঞান পিয়াসুদের জন্য) বই + mp3

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<span style="color: #993300; font-size: small;"></span><br />
<center>
<span style="color: #993300; font-size: small;">রহমান রহীম আল্লাহ্‌ তায়ালার নামে- </span></center>
<br /><br />
<img alt="" class="aligncenter size-full wp-image-1883 tie-appear" height="782" src="http://i0.wp.com/www.quraneralo.com/wp-content/uploads/2011/07/HBOOK008.jpg?resize=550%2C782" title="HBOOK008" width="550" /><br />

<div style="text-align: center;">
<strong>“বিসমিল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আলা রাসুলিল্লাহ ওয়া আলা আলিহি ওয়া আসহাবিহি আজমাইন আম্মাবাদ”</strong></div>
<br />

<span style="color: maroon;">আপনি কি জান্নাত পেতে চান? জাহান্নাম 
থাকে নিজেকে রক্ষা করতে চান? আমরা সবাই তা চাই। কিন্তু আমরা কি জানি কিভাবে
 চির সুখের স্থান জান্নাত পেতে হবে এবং কিভাবে জাহান্নামের আগুন থেকে 
নিজেকে রক্ষা করতে হবে?</span><br />

পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ বলেনঃ<br />

<h3 style="text-align: right;">
<span style="color: maroon;"><strong>الَّذِينَ آمَنُوا وَلَمْ يَلْبِسُوا إِيمَانَهُم بِظُلْمٍ أُولَٰئِكَ لَهُمُ الْأَمْنُ وَهُم مُّهْتَدُونَ</strong></span></h3>
<span style="color: maroon;">“<strong>যারা ঈমান আনে এবং স্বীয় বিশ্বাসকে শিরকের সাথে মিশ্রিত করে না, তাদের জন্যেই শান্তি এবং তারাই সুপথগামী</strong>।“  [ সুরা আন’আম ৮২]</span><br />

এবং মহানবী মুহাম্মাদ (সাঃ) বলেন<br />

<span style="color: #3366ff;">“<strong>আল্লাহ তা’আলা এমন বাক্তির উপর 
জাহান্নামের আগুন হারাম করে দিয়েছেন, যে বাক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টি  লাভের 
উদ্দেশে লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলেছে</strong>।“ [সহিহ বুখারি-৬৪২৩, সহিহ মুসলিম – ৩৩,২৬৩]</span><br />

তাওহীদ হল ইসলামের মূল ভিত্তি। জান্নাত লাভের চাবিকাঠি। এবং তাওহীদের 
বিপরীত হল শিরক। শিরক যাবতীয় আমল বরবাদকারি জাহান্নামে যাবার কারণ।মহান 
আল্লাহ বলেন:<br />

<h3 style="text-align: right;">
<strong><span style="color: maroon;">إِنَّ
 اللَّهَ لَا يَغْفِرُ أَن يُشْرَكَ بِهِ وَيَغْفِرُ مَا دُونَ ذَٰلِكَ 
لِمَن يَشَاءُ ۚ وَمَن يُشْرِكْ بِاللَّهِ فَقَدِ افْتَرَىٰ إِثْمًا 
عَظِيمًا</span></strong></h3>
<strong><span style="color: maroon;">“নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাকে ক্ষমা 
করেন না, যে লোক তাঁর সাথে শরীক করে। তিনি ক্ষমা করেন এর নিম্ন পর্যায়ের 
পাপ, যার জন্য তিনি ইচ্ছা করেন। আর যে লোক অংশীদার সাব্যস্ত করল আল্লাহর 
সাথে, সে যেন অপবাদ আরোপ করল।“ [সুরা নিসা -৪৮ ]</span></strong><br />

<h3 style="text-align: right;">
<strong><span style="color: maroon;">إِنَّهُ مَن يُشْرِكْ بِاللَّهِ فَقَدْ حَرَّمَ اللَّهُ عَلَيْهِ الْجَنَّةَ وَمَأْوَاهُ النَّارُ</span></strong></h3>
<strong><span style="color: maroon;">“নিশ্চয় যে ব্যক্তি আল্লাহর 
সাথে শিরকে লিপ্ত হয়, আল্লাহ তার জন্যে জান্নাত হারাম করে দেন। এবং তার 
জন্য জাহান্নামকে অবধারিত করে দেন ।“[সুরা মায়েদা – ৭২]</span></strong><br />

আর তাই আল্লাহর বিশুদ্ধ তাওহীদের দাওয়াতের প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করে 
শাইখ মুহাম্মাদ বিন সুলায়মান আত-তামিমি(রাহিমাহুল্লাহ) আল্লাহর তাওহীদের 
উপর এই অমূল্য গ্রন্থটি রচনা করেন। এতে লেখক (রাহিমাহুল্লাহ) তাওহীদের অর্থ
 ও ফাযিলত, তাওহীদের বিপরীত শিরক এর প্রকারভেদে এর ভয়াবহতা সহ আরো অনেক 
বিষয়ে আলোচনা করেছেন যেমনঃ<br />

<ul>
<li>তাওহীদের মর্যাদা এবং তাওহীদের ফলে যে পাপ মোচন হয়।</li>
<li>যে ব্যক্তি তাওহীদ প্রতিষ্ঠা করবে সে বিনা হিসেবে জান্নাতে যাবে।</li>
<li>শিরক সম্পর্কীয় ভীতি।</li>
<li>লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ এর প্রতি সাক্ষ্যদানের আহবান।</li>
<li>তাওহীদ এবং  লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ এর সাক্ষ্য বাণীর ব্যাখ্যা।</li>
<li>আল্লাহ ব্যতিত অন্য কারোর উদ্দেশ্যে মানত করা শিরক এবং কেন।</li>
<li>আল্লাহ ব্যতিত গাইরুল্লাহর কাছে আশ্রয় চাওয়া শিরক এবং কেন।</li>
<li>অক্ষমকে আহবান করা শিরক এবং কেন।</li>
<li>যাদু।</li>
<li>যাদু ও এর শ্রেণীভুক্ত বিষয়।</li>
<li>ভবিষ্যৎ বক্তা।</li>
<li>অশুভ আলামত সম্পর্কীয় বিবরণ সহ</li>
</ul>
<strong>মোট ৬৬টি বিষয়ের উপর আলোচনা করেছেন। বইটি ডাউনলোড করুন এই লিংক থেকেঃ</strong><br />

<div class="sdm_download_item ">
<div class="sdm_download_item_top">
<div class="sdm_download_thumbnail">
<img class="sdm_download_thumbnail_image tie-appear" height="75" src="http://i0.wp.com/www.quraneralo.com/wp-content/uploads/2011/07/HBOOK008.jpg?resize=442%2C628" width="75" /></div>
<div class="sdm_download_title">
কিতাবুত তাওহীদের ব্যাখ্যা – QuranerAlo Server</div>
</div>
<div class="sdm_download_link">
<span class="sdm_download_button"><a class="sdm_download blue" href="http://www.quraneralo.com/?smd_process_download=1&download_id=5808" target="_blank" title="কিতাবুত তাওহীদের ব্যাখ্যা – QuranerAlo Server">Download Now!</a></span><span class="sdm_download_item_count"><span class="sdm_item_count_number">21241</span><span class="sdm_item_count_string"> Downloads</span></span></div>
</div>
<div class="sdm_download_item ">
<div class="sdm_download_item_top">
<div class="sdm_download_title">
Kitabut Tawheed – Mediafire</div>
</div>
<div class="sdm_download_link">
<span class="sdm_download_button"><a class="sdm_download blue" href="http://www.quraneralo.com/?smd_process_download=1&download_id=5809" target="_blank" title="Kitabut Tawheed – Mediafire">Download Now!</a></span><span class="sdm_download_item_count"><span class="sdm_item_count_number">5420</span><span class="sdm_item_count_string"> Downloads</span></span></div>
</div>
<div style="text-align: left;">
</div>
<br />

<br />

<div style="text-align: left;">
কিছুদিন আগে <a href="http://www.peacetvbangla.com/sp_mutiur_rahman_madani.html" target="_blank">শেইখ মতিউর রহমান মাদানি</a>,
 এই কিতাবুত তাওহীদ বইটির উপর একটি কোর্স করিয়েছিলেন। আপনাদের তাওহীদ 
বুঝার সুবিধার্থে আমরা আপনাদের জন্য এই কোর্সের ৫৭ টি লেকচার প্রত্যেকটা 
বিষয়ের উপর আলাদা আলাদা ভাবে নিচে দিয়ে দিলাম। আপনার বইটি ডাউনলোড করে 
ওপেন করুন, এবং প্রত্যেকটি বিষয়ের পাসে একটা নাম্বার দিয়া আছে। ঐ নাম্বার
 অনুজায়ে আপনারা নিচে থেকে লেকচার ডাউনলোড করে শুনুন। আল্লাহ্‌ আমাদের 
সকলকে তাওহীদ বুঝার তাউফিক দান করুক। আমিন।</div>
<div style="text-align: left;">
সব ফাইল একসাথে ডাউনলোড করুন।</div>
<div style="text-align: left;">
<a href="http://server1.quraneralo.com/tawheed/Chapter%201-13.zip" target="_blank">Chapter 1-13.zip</a> [204 MB] | <a href="http://server1.quraneralo.com/tawheed/Chapter%2014-26.zip" target="_blank">Chapter 14-26.zip</a> [228 MB]
</div>
<div style="text-align: left;">
<a href="http://server1.quraneralo.com/tawheed/Chapter%2027-40.zip" target="_blank">Chapter 27-40.zip</a> [229 Mb] | <a href="http://server1.quraneralo.com/tawheed/Chapter%2041-66.zip" target="_blank">Chapter 41-66.zip</a> [209 Mb]
</div>
<div style="text-align: left;">
আপনারা <a href="http://www.orbitdownloader.com/download.htm" target="_blank">Orbit downloader</a> সফটওয়্যারটি ব্যাবহার করে, খুব সহজেই বড় ফাইল ডাউনলোড করতে পারবেন।</div>
<div style="text-align: center;">
<strong>বিষয় ভিত্তিক আলাদা আলাদা ভাবে নিচে থেকে ডাউনলোড করুনঃ</strong></div>
<br />

<table border="1" style="width: 600px;">
<tbody>
<tr>
<th scope="col" width="288">Download from QuranerAlo Server</th>
<th scope="col" width="296">Download from 4shared Server</th>
</tr>
<tr>
<th align="left" scope="row" valign="top"><a href="http://server1.quraneralo.com/tawheed/1-13/Tawhid%20-%20Introduction.mp3" target="_blank">Tawhid – Introduction.mp3</a><br />
<a href="http://server1.quraneralo.com/tawheed/1-13/Chapter%201.mp3" target="_blank">Chapter 1.mp3</a><br />
<a href="http://server1.quraneralo.com/tawheed/1-13/Chapter%202%20-%20Part%201.mp3" target="_blank">Chapter 2 – Part 1.mp3</a><br />
<a href="http://server1.quraneralo.com/tawheed/1-13/Chapter%202%20-%20Part%202.mp3" target="_blank">Chapter 2 – Part 2.mp3</a><br />
<a href="http://server1.quraneralo.com/tawheed/1-13/Chatper%203%20and%204.mp3" target="_blank">Chapter 3 and 4.mp3</a><br />
<a href="http://server1.quraneralo.com/tawheed/1-13/Chatper%205.mp3" target="_blank">Chapter 5.mp3</a><br />
<a href="http://server1.quraneralo.com/tawheed/1-13/Chatper%206.mp3" target="_blank">Chapter 6.mp3</a><br />
<a href="http://server1.quraneralo.com/tawheed/1-13/Chatper%207.mp3" target="_blank">Chapter 7.mp3</a><br />
<a href="http://server1.quraneralo.com/tawheed/1-13/Chapter%208.mp3" target="_blank">Chapter 8.mp3</a><br />
<a href="http://server1.quraneralo.com/tawheed/1-13/Chatper%209%20&%2010.mp3" target="_blank">Chapter 9 & 10.mp3</a><br />
<a href="http://server1.quraneralo.com/tawheed/1-13/Chatper%2011.mp3" target="_blank">Chapter 11.mp3</a><br />
<a href="http://server1.quraneralo.com/tawheed/1-13/Chatper%2012.mp3" target="_blank">Chapter 12.mp3</a><br />
<a href="http://server1.quraneralo.com/tawheed/1-13/Chatper%2013.mp3" target="_blank">Chapter 13.mp3</a><br />
<a href="http://server1.quraneralo.com/tawheed/Chapter%2014-26/Chapter%2014.mp3" target="_blank">Chapter 14.mp3</a><br />
<a href="http://server1.quraneralo.com/tawheed/Chapter%2014-26/Chapter%2015.mp3" target="_blank">Chapter 15.mp3</a><br />
<a href="http://server1.quraneralo.com/tawheed/Chapter%2014-26/Chapter%2016.mp3" target="_blank">Chapter 16.mp3</a><br />
<a href="http://server1.quraneralo.com/tawheed/Chapter%2014-26/Chapter%2017.mp3" target="_blank">Chapter 17.mp3</a><br />
<a href="http://server1.quraneralo.com/tawheed/Chapter%2014-26/Chapter%2018.mp3" target="_blank">Chapter 18.mp3</a><br />
<a href="http://server1.quraneralo.com/tawheed/Chapter%2014-26/Chapter%2019.mp3" target="_blank">Chapter 19.mp3</a><br />
<a href="http://server1.quraneralo.com/tawheed/Chapter%2014-26/Chapter%2020.mp3" target="_blank">Chapter 20.mp3</a><br />
<a href="http://server1.quraneralo.com/tawheed/Chapter%2014-26/Chapter%2021.mp3" target="_blank">Chapter 21.mp3</a><br />
<a href="http://server1.quraneralo.com/tawheed/Chapter%2014-26/Chapter%2022.mp3" target="_blank">Chapter 22.mp3</a><br />
<a href="http://server1.quraneralo.com/tawheed/Chapter%2014-26/Chapter%2023%20&%2024.mp3" target="_blank">Chapter 23 & 24.mp3</a><br />
<a href="http://server1.quraneralo.com/tawheed/Chapter%2014-26/Chapter%2025%20&%2026.mp3" target="_blank">Chapter 25 & 26.mp3</a><br />
<a href="http://server1.quraneralo.com/tawheed/Chapter%2028-48/Chapter%2027.mp3" target="_blank">Chapter 27.mp3</a><br />
<a href="http://server1.quraneralo.com/tawheed/Chapter%2028-48/Chapter%2028.mp3" target="_blank">Chapter 28.mp3</a><br />
<a href="http://server1.quraneralo.com/tawheed/Chapter%2028-48/Chapter%2029.mp3" target="_blank">Chapter 29.mp3</a><br />
<a href="http://server1.quraneralo.com/tawheed/Chapter%2028-48/Chapter%2030.mp3" target="_blank">Chapter 30.mp3</a><br />
<a href="http://server1.quraneralo.com/tawheed/Chapter%2028-48/Chapter%2031.mp3" target="_blank">Chapter 31.mp3</a><br />
<a href="http://server1.quraneralo.com/tawheed/Chapter%2028-48/Chapter%2032.mp3" target="_blank">Chapter 32.mp3</a><br />
<a href="http://server1.quraneralo.com/tawheed/Chapter%2028-48/Chapter%2033.mp3" target="_blank">Chapter 33.mp3</a><br />
<a href="http://server1.quraneralo.com/tawheed/Chapter%2028-48/Chapter%2034.mp3" target="_blank">Chapter 34.mp3</a><br />
<a href="http://server1.quraneralo.com/tawheed/Chapter%2028-48/Chapter%2035.mp3" target="_blank">Chapter 35.mp3</a><br />
<a href="http://server1.quraneralo.com/tawheed/Chapter%2028-48/Chapter%2036.mp3" target="_blank">Chapter 36.mp3</a><br />
<a href="http://server1.quraneralo.com/tawheed/Chapter%2028-48/Chapter%2037.mp3" target="_blank">Chapter 37.mp3</a><br />
<a href="http://server1.quraneralo.com/tawheed/Chapter%2028-48/Chapter%2038.mp3" target="_blank">Chapter 38.mp3</a><br />
<a href="http://server1.quraneralo.com/tawheed/Chapter%2028-48/Chapter%2039.mp3" target="_blank">Chapter 39.mp3</a><br />
<a href="http://server1.quraneralo.com/tawheed/Chapter%2028-48/Chapter%2040.mp3" target="_blank">Chapter 40.mp3</a><br />
<a href="http://server1.quraneralo.com/tawheed/Chapter%2041-66/Chapter%2041.mp3" target="_blank">Chapter 41.mp3</a><br />
<a href="http://server1.quraneralo.com/tawheed/Chapter%2041-66/Chapter%2042%20&%2043.mp3" target="_blank">Chapter 42 & 43.mp3</a><br />
<a href="http://server1.quraneralo.com/tawheed/Chapter%2041-66/Chapter%2044%20&%2045.mp3" target="_blank">Chapter 44 & 45.mp3</a><br />
<a href="http://server1.quraneralo.com/tawheed/Chapter%2041-66/Chapter%2046.mp3" target="_blank">Chapter 46.mp3</a><br />
<a href="http://server1.quraneralo.com/tawheed/Chapter%2041-66/Chapter%2047.mp3" target="_blank">Chapter 47.mp3</a><br />
<a href="http://server1.quraneralo.com/tawheed/Chapter%2041-66/Chapter%2048.mp3" target="_blank">Chapter 48.mp3</a><br />
<a href="http://server1.quraneralo.com/tawheed/Chapter%2041-66/Chapter%2049%20&%2050.mp3" target="_blank">Chapter 49 & 50.mp3</a><br />
<a href="http://server1.quraneralo.com/tawheed/Chapter%2041-66/Chapter%2051-55.mp3" target="_blank">Chapter 51, 52, 53, 54 & 55.mp3</a><br />
<a href="http://server1.quraneralo.com/tawheed/Chapter%2041-66/Chapter%2056%20&%2057.mp3" target="_blank">Chapter 56 & 57.mp3</a><br />
<a href="http://server1.quraneralo.com/tawheed/Chapter%2041-66/Chapter%2058.mp3" target="_blank">Chapter 58.mp3</a><br />
<a href="http://server1.quraneralo.com/tawheed/Chapter%2041-66/Chapter%2059.mp3" target="_blank">Chapter 59.mp3</a><br />
<a href="http://server1.quraneralo.com/tawheed/Chapter%2041-66/Chapter%2060.mp3" target="_blank">Chapter 60.mp3</a><br />
<a href="http://server1.quraneralo.com/tawheed/Chapter%2041-66/Chapter%2061.mp3" target="_blank">Chapter 61.mp3</a><br />
<a href="http://server1.quraneralo.com/tawheed/Chapter%2041-66/Chapter%2062.mp3" target="_blank">Chapter 62.mp3</a><br />
<a href="http://server1.quraneralo.com/tawheed/Chapter%2041-66/Chapter%2063,%2064%20&%2065.mp3" target="_blank">Chapter 63, 64 & 65.mp3</a><br />
<a href="http://server1.quraneralo.com/tawheed/Chapter%2041-66/Chapter%2066.mp3" target="_blank">Chapter 66.mp3</a></th>
<td><a href="http://www.4shared.com/audio/4V5z3xAZ/Tawhid_-_Introduction.html" target="_blank">Tawhid – Introduction.mp3</a><br />
<a href="http://www.4shared.com/audio/oQWVm3VO/Chapter_1.html" target="_blank">Chapter 1.mp3</a><br />
<a href="http://www.4shared.com/audio/r25RF1En/Chapter_2_-_Part_1.html" target="_blank">Chapter 2 – Part 1.mp3</a><br />
<a href="http://www.4shared.com/audio/Q2Panb0i/Chapter_2_-_Part_2.html" target="_blank">Chapter 2 – Part 2.mp3</a><br />
<a href="http://www.4shared.com/audio/N81dN3uV/Chatper_3_and_4.html" target="_blank">Chatper 3 and 4.mp3</a><br />
<a href="http://www.4shared.com/audio/emMSEdpT/Chatper_5.html" target="_blank">Chatper 5.mp3</a><br />
<a href="http://www.4shared.com/audio/YV-6GLIn/Chatper_6.html" target="_blank">Chatper 6.mp3</a><br />
<a href="http://www.4shared.com/audio/lGpeH50n/Chatper_7.html" target="_blank">Chatper 7.mp3</a><br />
<a href="http://www.4shared.com/audio/w56EBLBm/Chapter_8.html" target="_blank">Chapter 8.mp3</a><br />
<a href="http://www.4shared.com/audio/5sUAkHki/Chatper_9__10.html" target="_blank">Chatper 9 & 10.mp3</a><br />
<a href="http://www.4shared.com/audio/UG6v7uze/Chatper_11.html" target="_blank">Chatper 11.mp3</a><br />
<a href="http://www.4shared.com/audio/FysO0-TI/Chatper_12.html" target="_blank">Chatper 12.mp3</a><br />
<a href="http://www.4shared.com/audio/r0u6wFcR/Chatper_13.html" target="_blank">Chatper 13.mp3</a><br />
<a href="http://www.4shared.com/audio/WqmCr465/Chapter_14.html" target="_blank">Chapter 14.mp3</a><br />
<a href="http://www.4shared.com/audio/SW4vgxjN/Chapter_15.html" target="_blank">Chapter 15.mp3</a><br />
<a href="http://www.4shared.com/audio/3pRVLZ_U/Chapter_16.html" target="_blank">Chapter 16.mp3</a><br />
<a href="http://www.4shared.com/audio/Y64L4sTJ/Chapter_17.html" target="_blank">Chapter 17.mp3</a><br />
<a href="http://www.4shared.com/audio/Zc4fAsfC/Chapter_18.html" target="_blank">Chapter 18.mp3</a><br />
<a href="http://www.4shared.com/audio/ksEC9760/Chapter_19.html" target="_blank">Chapter 19.mp3</a><br />
<a href="http://www.4shared.com/audio/yKx9dktw/Chapter_20.html" target="_blank">Chapter 20.mp3</a><br />
<a href="http://www.4shared.com/audio/AxDjxlwR/Chapter_21.html" target="_blank">Chapter 21.mp3</a><br />
<a href="http://www.4shared.com/audio/1ZjFWJPX/Chapter_22.html" target="_blank">Chapter 22.mp3</a><br />
<a href="http://www.4shared.com/audio/ALbdwKe7/Chapter_23__24.html" target="_blank">Chapter 23 & 24.mp3</a><br />
<a href="http://www.4shared.com/audio/dB8FSYRG/Chapter_25__26.html" target="_blank">Chapter 25 & 26.mp3</a><br />
<a href="http://www.4shared.com/audio/sT0CWaRb/Chapter_27.html" target="_blank">Chapter 27.mp3</a><br />
<a href="http://www.4shared.com/audio/hvY-1JZY/Chapter_28.html" target="_blank">Chapter 28.mp3</a><br />
<a href="http://www.4shared.com/audio/aua-oxdP/Chapter_29.html" target="_blank">Chapter 29.mp3</a><br />
<a href="http://www.4shared.com/audio/2upfZgvI/Chapter_30.html" target="_blank">Chapter 30.mp3</a><br />
<a href="http://www.4shared.com/audio/licqs3hQ/Chapter_31.html" target="_blank">Chapter 31.mp3</a><br />
<a href="http://www.4shared.com/audio/APfs-xi1/Chapter_32.html" target="_blank">Chapter 32.mp3</a><br />
<a href="http://www.4shared.com/audio/OPmiH11n/Chapter_33.html" target="_blank">Chapter 33.mp3</a><br />
<a href="http://www.4shared.com/audio/EcuvcljM/Chapter_34.html" target="_blank">Chapter 34.mp3</a><br />
<a href="http://www.4shared.com/audio/bILZqVGP/Chapter_35.html" target="_blank">Chapter 35.mp3</a><br />
<a href="http://www.4shared.com/audio/VtxtGROT/Chapter_36.html" target="_blank">Chapter 36.mp3</a><br />
<a href="http://www.4shared.com/audio/W7Kp0UNI/Chapter_37.html" target="_blank">Chapter 37.mp3</a><br />
<a href="http://www.4shared.com/audio/42CFYOlc/Chapter_38.html" target="_blank">Chapter 38.mp3</a><br />
<a href="http://www.4shared.com/audio/np-XZqqc/Chapter_39.html" target="_blank">Chapter 39.mp3</a><br />
<a href="http://www.4shared.com/audio/ggIWK9Vo/Chapter_40.html" target="_blank">Chapter 40.mp3</a><br />
<a href="http://www.4shared.com/audio/zkohHK19/Chapter_41.html" target="_blank">Chapter 41.mp3</a><br />
<a href="http://www.4shared.com/audio/rXc_MLdp/Chapter_42__43.html" target="_blank">Chapter 42 & 43.mp3</a><br />
<a href="http://www.4shared.com/audio/N5UbJmu-/Chapter_44__45.html" target="_blank">Chapter 44 & 45.mp3</a><br />
<a href="http://www.4shared.com/audio/unnU_xF1/Chapter_46.html" target="_blank">Chapter 46.mp3</a><br />
<a href="http://www.4shared.com/audio/AWD0h4q3/Chapter_47.html" target="_blank">Chapter 47.mp3</a><br />
<a href="http://www.4shared.com/audio/josUmvVi/Chapter_48.html" target="_blank">Chapter 48.mp3</a><br />
<a href="http://www.4shared.com/audio/HA6PgpoN/Chapter_49__50.html" target="_blank">Chapter 49 & 50.mp3</a><br />
<a href="http://www.4shared.com/audio/Xwu9Ifdo/Chapter_51-55.html" target="_blank">Chapter 51, 52, 53, 54 & 55.mp3</a><br />
<a href="http://www.4shared.com/audio/LFcJ1G8c/Chapter_56__57.html" target="_blank">Chapter 56 & 57.mp3</a><br />
<a href="http://www.4shared.com/audio/84vXQfaq/Chapter_58.html" target="_blank">Chapter 58.mp3</a><br />
<a href="http://www.4shared.com/audio/iaFH3hCZ/Chapter_59.html" target="_blank">Chapter 59.mp3</a><br />
<a href="http://www.4shared.com/audio/4jT7kRcO/Chapter_60.html" target="_blank">Chapter 60.mp3</a><br />
<a href="http://www.4shared.com/audio/H-k_HIZD/Chapter_61.html" target="_blank">Chapter 61.mp3</a><br />
<a href="http://www.4shared.com/audio/PznS6YoK/Chapter_62.html" target="_blank">Chapter 62.mp3</a><br />
<a href="http://www.4shared.com/audio/Dk5009Gs/Chapter_63_64__65.html" target="_blank">Chapter 63, 64 & 65.mp3</a><br />
<a href="http://www.4shared.com/audio/UXQRcQow/Chapter_66.html" target="_blank">Chapter 66.mp3</a></td>
</tr>
</tbody>
</table>
</div>

কিতাবুত তাওহীদের ব্যাখ্যা – (জ্ঞান পিয়াসুদের জন্য) বই + mp3

রহমান রহীম আল্লাহ্‌ তায়ালার নামে- “বিসমিল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আলা রাসুলিল্লাহ ওয়া আলা আলিহি ওয়া আসহাবিহি...

‘বিসমিল্লাহ্‌’ মানে কি এটা কি আমরা জানি ?

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<span style="color: #993300; font-size: small;"></span><br />
<center>
<span style="color: #993300; font-size: small;">রহমান রহীম আল্লাহ্‌ তায়ালার নামে- </span></center>
<br /><br />
<img alt="bismillah-facebook-cover" class="aligncenter  wp-image-5275 tie-appear" height="223" src="http://i2.wp.com/www.quraneralo.com/wp-content/uploads/2014/10/bismillah-facebook-cover.jpg?resize=602%2C223" width="602" /><br />

ইসলাম যে কত সুন্দর আর ইসলামের জ্ঞানে যে কত গভীর তাৎপর্য ও সৌন্দর্য 
আছে এটা আমরা অনেকেই জানি, কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই উপলব্ধি করে উঠতে 
পারিনা।কারণটা অনেকক্ষেত্রেই ইলম শিক্ষায় সময় বের করতে নিজের অনাগ্রহ এবং 
আগ্রহ থাকলেও দ্বীনের ইলম কার কাছ থেকে নিচ্ছি সেটার উপর নির্ভর করে 
পুরোপুরি।<br />

শাইখ আহমাদ মুসা জিবরীল তাওহীদ-১ লেকচারে মিনিট পাঁচেক “বিসমিল্লাহ্‌”র 
অন্তর্নিহিত তাৎপর্য নিয়ে কিছু কথা বলেছেন।এই সামান্য জ্ঞানটাও যদি আমরা 
কাজে লাগাতে পারি তাহলে আমার বিশ্বাস এটা একটা “Lifetime 
Achievement”!বাহুল্য কাজ কিংবা ভালো কাজে না চাওয়া সত্ত্বেও লোকদেখানো 
মনোভাব থেকে মুক্ত হয়ে আমরা বুঝতে পারবো যে সিরাতুল মুস্তাকিমে থাকা আসলেই 
অনেক সহজ আলহামদুলিল্লাহ্‌ ! তাই শাইখের লেকচার থেকে কিছুটা আপনাদের 
জানানোর চেষ্টা করলামঃ<br />

বিসমিল্লাহ্‌ এসেছে “বাসমালাহ” থেকে।তাওহীদের সকল দিকই(aspects) এই 
“বিসমিল্লাহ”র মধ্যে পরিস্ফুটিত হয়।তাওহিদ উল উলুহিয়্যাহ ,তাওহিদ উর 
রুবুবিয়া এবং তাওহিদ আসমা ওয়াসসিফাত এই তিনটাই।নিচের তিনটা পয়েন্টে আমরা 
দেখে নিই যে তাওহীদের এই aspect গুলো আসলে কি বোঝাচ্ছে-<br />

<span style="color: maroon;"><strong>প্রথমত</strong></span>, 
বিসমিল্লাহ্‌ বলে কোন কাজ শুরু করা মানেই এই সাক্ষ্য দেয়া যে আল্লাহ্‌ই 
আমাকে এই কাজ করার অনুমতি দিয়েছেন,যদি এই কাজে আল্লাহর সায় না থাকতো আমি 
কখনোই এ কাজ করতে পারতাম না।হে আল্লাহ্ একমাত্র তোমার সন্তুষ্টির(Only for 
your sake) জন্যই এ কাজটা করছি।<br />

কেউ কখনো হারাম কাজ করতে গিয়ে বিসমিল্লাহ্‌ বলতে পারেনা।যদি বলে সে আসলে
 দ্বিগুণ গুনাহ করছে।কারণ, সে যখন বলে বিসমিল্লাহ্‌ সে তখন সাক্ষ্য দিচ্ছে 
যে আল্লাহ্‌ই তাকে এ কাজ করার অনুমতি দিয়েছেন অতচ আল্লাহ্‌ কখনোই সে কাজের 
বৈধতা দেননি।এটা হল একটা গুনাহ আর দ্বিতীয়টা হল ওই হারাম কাজের গুনাহ ।<br />

এই ধারণাই হল তাওহীদ উল উলুহিয়্যাহ।<br />

<strong><span style="color: maroon;">দ্বিতীয়ত</span></strong>, যখন 
আমরা কোন একটা জিনিস লিখি বা করি আমাদের মনে এই প্রশ্নটা আসা উচিৎ যে এই 
আমি লিখছি কে আমাকে এই লিখার ক্ষমতা দিল?এ কাজ করার ক্ষমতা আমায় কে 
দিয়েছেন?- আল্লাহ্‌ই আমাকে দিয়েছেন এই ক্ষমতা।তাই যখন আমরা বলি 
বিসমিল্লাহ্‌ তখন আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি “I couldn’t have done this without 
the power Allah has given me, Bismillah I am doing this by the power 
Allah has given it. Bismillah I eat because Allah has given me this 
provision and had it not been for the power Allah has given me I 
wouldn’t be able to chew it. Bismillah I write because if it wasn’t for 
Allah given me the power my hand wouldn’t be able to move”<br />

এটা বলা আসলে “লা হাওলা ওয়ালা কুউওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ”বলার মত মানে “If 
it was not for his power I wouldn’t have done this act” এজন্যই আল্লাহ্‌ 
বলছেন “Every provision you have is from Allah”<br />

এটা হল তাওহীদ আররুবুবিয়্যাহ।<br />

<span style="color: maroon;"><strong>তৃতীয়ত</strong></span>,বিসমিল্লাহ্‌
 বলা মানে “Seeking Blessing by the name of Allah.You are using the name 
of Allah to Bless whatever you are doing.” অর্থাৎ আল্লাহ্‌র নামকে 
ব্যবহার করে যেই কাজটা আমরা করবো সেটার জন্য বরকত চাওয়া।আর এই ধারনাটাই হল 
তাওহীদ আসমা ওয়াস সিফাত।<br />

[‘বিসমিল্লাহ’র এই ব্যাখ্যাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তাই সম্ভবহলে অন্যদের কাছেও এই জ্ঞান পৌঁছে দিন:Both Online & Offline]

লেখাটি সংগ্রহ করা হয়েছে “<strong>ঈনসাফ</strong>” এর ব্লগ থেকে।<br />

(এ ওয়েব সাইটের সাথে সম্পৃক্ত অন্য ওয়েব সাইট অথবা অন্য ওয়েব সাইটে 
প্রদত্ত বিষয়-বস্তুর সাথে এ ওয়েব সাইটে প্রদত্ত বিষয়-বস্তুর সম্পৃক্ততা 
এবং এর সাথে সম্পৃক্ত অন্য ওয়েব সাইটে প্রবেশ করার ব্যাপারে কোনো 
দায়-দায়িত্ব কুরআনের আলো বহন করে না। তাতে প্রবেশ করবেন নিজ দায়িত্বেই। 
কারণ, সে সকল ওয়েব সাইট আমাদের দখলে নেই এবং তার বিষয়-বস্তু কিংবা ওয়েব 
সংক্রান্ত অন্যান্য প্রযুক্তিও আমাদের আয়ত্বে নেই। <strong>এবং এটাও মনে করা যাবে না যে, কুরআনের আলোর সাথে সম্পৃক্ত অন্যান্য ওয়েব সাইটে উপস্থাপিত জ্ঞান ও তথ্যের ব্যাপারে কুরআনের আলো একমত</strong>।
 কুরআনের আলো সে সব ওয়েবের লিংক দিয়ে শুধু কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে চায়। 
তাছাড়া সে সব ওয়েব সাইটে প্রদত্ত তথ্যের কোনো দায়-দায়িত্ব কুরআনের আলো 
কখনও বহন করে না।)</div>

‘বিসমিল্লাহ্‌’ মানে কি এটা কি আমরা জানি ?

রহমান রহীম আল্লাহ্‌ তায়ালার নামে- ইসলাম যে কত সুন্দর আর ইসলামের জ্ঞানে যে কত গভীর তাৎপর্য ও সৌন্দর্য আছে এটা আমরা অনেকেই জানি, কিন্...

পরিবার বিষয়ক প্রবন্ধ – স্বামী-স্ত্রীর দ্বন্দ্ব

<span style="color: #993300; font-size: small;"></span><br />
<center>
<span style="color: #993300; font-size: small;">রহমান রহীম আল্লাহ্‌ তায়ালার নামে- </span></center>
<br /><br />
<div align="center" style="text-align: center;">
<strong><a href="http://i1.wp.com/www.quraneralo.com/wp-content/uploads/2014/03/4cbc5d5286d9b76a3e020000.jpg"><img alt="4cbc5d5286d9b76a3e020000" class="aligncenter size-medium wp-image-4727 tie-appear" height="276" src="http://i1.wp.com/www.quraneralo.com/wp-content/uploads/2014/03/4cbc5d5286d9b76a3e020000.jpg?resize=442%2C276" width="442" /></a></strong></div>
<div align="center" style="text-align: center;">
<strong>লেখকঃ</strong> ড. সালেহ ইবন আবদিল্লাহ ইবন হুমাইদ | <b>অনুবাদ :</b><b> </b>মোঃ আমিনুল ইসলাম |  <b>সম্পাদনা : </b>ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া</div>
<div align="center" style="text-align: center;">
<strong><a href="http://www.quraneralo.com/family-related-article-1/" target="_blank">পর্ব – ১</a> | <span style="color: #999999;">পর্ব – ২</span></strong></div>
<h3 align="center" style="text-align: center;">
<b>بسم الله الرحمن الرحيم</b></h3>
<div align="center" style="text-align: justify;">
<span style="color: #993300;"><b>ভূমিকা</b></span></div>
<div style="text-align: justify;">
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি সৃষ্টি 
করেন, অতঃপর সুঠাম করেন, যিনি নির্ধারণ করেন, অতঃপর পথনির্দেশ করেন; আমি 
তার প্রশংসা ও পবিত্রতা বর্ণনা করছি। তিনি শেষে ও প্রথমে সকল প্রশংসার 
প্রাপ্য মালিক। আর আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্য 
ইলাহ নেই, যাঁর কোনো শরীক নেই; আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আমাদের নেতা ও 
নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বান্দা ও রাসূল, যিনি 
নির্বাচিত নবী ও বান্দা; আল্লাহ তাঁর উপর এবং তাঁর পরিবার-পরিজন, সাহাবীগণ 
এবং যে ব্যক্তি তাঁর দা‘ওয়াতের মাধ্যমে দা‘ওয়াত দান করে ও যে ব্যক্তি তাঁর 
পদ্ধতির অনুসরণে জীবনযাপন করে, সে ব্যক্তিসহ উল্লেখিত সকলের উপর রহমত, 
শান্তি ও বরকত বর্ষণ করুন।</div>
<div style="text-align: justify;">
<span style="color: #993300;"><b>অতঃপর:</b></span></div>
<div style="text-align: justify;">
জেনে রাখুন, আল্লাহ আপনাকে তাওফীক দিন— 
আল্লাহ তা‘আলার অন্যতম মহান নিয়ামত ও নিদর্শন হল ঘর-সংসার, যা আশ্রয়স্থল ও 
শান্তি নিকেতন; তার ছায়াতলে মানবগোষ্ঠী ভালবাসা ও অনুকম্পা, নিরাপত্তা ও 
পবিত্রতা এবং মহৎ জীবন ও শালীনতা লাভ করবে … তার কোলে শিশু-কিশোর ও তরুণ 
সমাজ বেড়ে উঠবে, আত্মীয়তার সম্পর্ক বিস্তার লাভ করবে এবং পারস্পরিক 
দায়বদ্ধতা শক্তিশালী হবে। অন্তরের সাথে অন্তর যুক্ত হবে … এবং মনের সাথে 
মনের আলিঙ্গন হবে; আল-কুরআনের ভাষায়:</div>
<h3 dir="RTL" style="text-align: justify;">
<span style="color: maroon;">﴿ هُنَّ لِبَاسٞ لَّكُمۡ وَأَنتُمۡ لِبَاسٞ لَّهُنَّۗ ﴾ [البقرة: ١٨٧]</span></h3>
<div style="text-align: justify;">
<span style="color: maroon;">“তারা তোমাদের পোষাকস্বরূপ এবং তোমরাও তাদের পোষাকস্বরূপ।” – ( সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ১৮৭ )।</span></div>
<div style="text-align: justify;">
এই মজবুত সম্পর্ক ও উন্নত সংসারের মধ্যে 
উত্তম বৈশিষ্ট্যের বিকাশ ঘটবে এবং ঐসব পুরুষ ব্যক্তিগণ বেড়ে উঠবে, যাদেরকে 
আমানতস্বরূপ মহান দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে; আর ঐসব নারীদেরকে শিক্ষা দেওয়া হবে,
 যারা বংশমূল তথা জাতির ভবিষ্যতকে দেখাশুনার দায়িত্ব পালন করে।</div>
<div align="center" style="text-align: justify;">
<span style="color: #993300;"><b>স্বামী-স্ত্রীর মাঝে দ্বন্দ্বের কতিপয় কারণ</b></span></div>
<div style="text-align: justify;">
জীবনের বাস্তবতা এবং মানুষ (যেমনটি আল্লাহ
 সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা তাদেরকে সৃষ্টি করেছেন; আর যা তিনি সৃষ্টি করেছেন, 
সে সম্পর্কে তিনি সবচেয়ে বেশি ভাল জানেন) সে মানুষের স্বভাব-প্রকৃতিতে কখনও
 কখনও (জীবনের বাস্তবতায়) এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, যাতে দিক-নির্দেশনা 
কাজ করে না এবং ভালবাসা ও প্রশান্তি সুদৃঢ় হয় না; যার কারণে কখনও কখনও 
দাম্পত্য সম্পর্ক অটুট রাখা কষ্টকর ও কঠিন হয়ে যায়। ফলে তাতে দাম্পত্য 
জীবনের উদ্দেশ্য বাস্তবায়িত হয় না এবং তার দ্বারা নবীন সঠিকভাবে বেড়ে উঠতে 
সমর্থ হয় না। আর এ বিশৃঙ্ল ও অনৈক্যের অবস্থা বা পরিস্থিতিসমূহের কারণসমূহ 
কখনও কখনও হয়ে থাকে আভ্যন্তরীণ আবার কখনও কখনও হয় বহিরাগত।</div>
<div style="text-align: justify;">
যেমন কখনও কখনও এ সমস্যার উত্থান হয়: 
স্বামী-স্ত্রীর অভিভাবক অথবা তাদের আত্মীয়-স্বজনের মধ্য অনভিজ্ঞ ব্যক্তির 
হস্তক্ষেপ, অথবা স্বামী-স্ত্রীর সকল ছোট বড় কর্মকাণ্ডের পশ্চাদ্ধাবন; আবার 
কখনও কখনও পরিবারের কোনো কোনো অভিভাবক এবং পরিবারের বড়দের পক্ষ থেকে তাদের
 অধিনস্থদের উপর এত বেশি নিয়ন্ত্রণ চাপিয়ে দেওয়া হয় যে, তা কখনও কখনও 
বিচারকের নিকট বিচার নিয়ে যাওয়ার পর্যন্ত গড়ায়; ফলে আড়ালে ঢাকা রহস্যসমূহ 
প্রকাশ হয়ে পড়ে এবং গোপন বিষয়সমূহ উম্মোচন হয়ে যায়, আর এগুলো হয় নিছক 
ছোট-খাট বিষয় অথবা তুচ্ছ কিছু কারণে; যার উৎপত্তি হয়ত অনুপযুক্ত অথবা 
প্রজ্ঞাশূন্য হস্তক্ষেপ অথবা তাড়াহুড়া ও দ্রুততা অবলম্বন বা গুজব ও 
আজে-বাজে কথায় কান দেওয়া ও সেটাকে সত্য বলে বিশ্বাস করা।</div>
<div style="text-align: justify;">
আর কখনও কখনও সমস্যার উৎসস্থল হয়: দীনের 
ব্যাপারে দূরদর্শিতার স্বল্পতা ও মহানুভব শরী‘য়তের বিধিবিধানসমূহের 
ব্যাপারে অজ্ঞতা এবং পুঞ্জীভূত কুঅভ্যাস ও দুর্বল চিন্তাধারা লালন করা।</div>
<div style="text-align: justify;">
ফলে কোনো কোন স্বামী বিশ্বাস করে বসে যে, 
তালাকের দ্বারা হুমকি দেওয়া অথবা তা উচ্চারণ করা হল দাম্পত্য বিরোধ ও 
পারিবারিক সমস্যার একটি সঠিক সমাধান; সুতরাং সে তার প্রবেশ ও বের হওয়ার সময়
 এবং তার নির্দেশ প্রদান ও নিষেধাজ্ঞার সময়ে, এমনকি তার সকল অবস্থায় 
(স্ত্রীর সাথে) কথাবার্তার ক্ষেত্রে তালাকের শব্দগুলো ব্যতীত অন্য কিছু 
জানে না বা বুঝে না; আর সে এও জানে না যে, এর দ্বারা সে প্রকারান্তরে 
আল্লাহর আয়াতসমূহকে উপহাস হিসেবে গ্রহণ করেছে; সে তার কর্মকাণ্ডে অপরাধী বা
 পাপী হচ্ছে, তার সংসার ধ্বংস করছে এবং তার পরিবার-পরিজন হারাচ্ছে।</div>
<div style="text-align: justify;">
হে মুসলিমগণ! এটাই কি দীনের ফিকহ তথা সুক্ষ্ম জ্ঞান হতে পারে?!</div>
<div style="text-align: justify;">
নিশ্চয়ই শরী‘য়ত কর্তৃক অনুমোদিত সুন্নাত 
পদ্ধতি যে তালাকের বিধান রয়েছে তার উদ্দেশ্য দাম্পত্য সম্পর্কের বন্ধন বা 
রশি কর্তন করা নয়, বরং বলা যায় যে, এ পদ্ধতির তালাক হচ্ছে এই সম্পর্ক 
সাময়িকভাবে আটকে রাখা এবং প্রতীক্ষা, চিন্তাভাবনা ও সংশোধনের একটি পর্যায়; 
আল-কুরআনের ভাষায়:</div>
<h3 dir="RTL" style="text-align: justify;">
<span style="color: maroon;">﴿
 … لَا تُخۡرِجُوهُنَّ مِنۢ بُيُوتِهِنَّ وَلَا يَخۡرُجۡنَ إِلَّآ أَن 
يَأۡتِينَ بِفَٰحِشَةٖ مُّبَيِّنَةٖۚ وَتِلۡكَ حُدُودُ ٱللَّهِۚ وَمَن 
يَتَعَدَّ حُدُودَ ٱللَّهِ فَقَدۡ ظَلَمَ نَفۡسَهُۥۚ لَا تَدۡرِي لَعَلَّ 
ٱللَّهَ يُحۡدِثُ بَعۡدَ ذَٰلِكَ أَمۡرٗا ١ فَإِذَا بَلَغۡنَ أَجَلَهُنَّ 
فَأَمۡسِكُوهُنَّ بِمَعۡرُوفٍ أَوۡ فَارِقُوهُنَّ بِمَعۡرُوفٖ … ﴾ [الطلاق:
 ١،  ٢]</span></h3>
<div style="text-align: justify;">
<span style="color: maroon;">“ … তোমরা 
তাদেরকে তাদের ঘরবাড়ি থেকে বহিষ্কার করো না এবং তারাও বের হবে না, যদি না 
তারা লিপ্ত হয় স্পষ্ট অশ্লীলতায়। আর এগুলো আল্লাহর নির্ধারিত সীমা; যে 
আল্লাহর সীমা লঙ্ঘন করে, সে নিজেরই উপর অত্যাচার করে। আপনি জানেন না, হয়ত 
আল্লাহ এর পর কোনো উপায় করে দেবেন। অতঃপর তাদের ইদ্দত পূরণের কাল আসন্ন হলে
 তোমরা হয় যথাবিধি তাদেরকে রেখে দেবে, না হয় তাদেরকে যথাবিধি পরিত্যাগ 
করবে। …” – (সূরা আত-তালাক, আয়াত: ১-২)।</span></div>
<div style="text-align: justify;">
এটাই হচ্ছে শরী‘য়ত। বরং বিষয়টি এর মধ্যেই 
সীমাবদ্ধ নয়; নিশ্চয়ই সুন্নাত পদ্ধতিতে তালাক প্রদানের বিধানটি প্রতিকারের 
সর্বশেষ অস্ত্র এবং এর পূর্বে অনেকগুলো উপায় রয়েছে।</div>
<div align="center" style="text-align: center;">
<span style="color: #993300;"><b>স্বামী-স্ত্রীর মধ্যকার দ্বন্দ্ব নিরসনের কতিপয় উপায়</b></span></div>
<div style="text-align: justify;">
<span style="color: #993300;"><b>আমার মুসলিম ভাই ও বোন:</b></span></div>
<div style="text-align: justify;">
যখন বিরোধের আলামত, অবাধ্যতা, মতানৈক্যের লক্ষণ প্রকাশ পাবে, তখন তালাক বা তালাকের হুমকি প্রদান করা তার প্রতিকার নয়।</div>
<div style="text-align: justify;">
প্রতিকারের জন্য যা দাবি করা হয়, তার 
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হল: ধৈর্য, সহিষ্ণুতা, বিবেক ও বুদ্ধির ক্ষেত্রে 
বিভিন্নতা এবং স্বভাব-প্রকৃতির ক্ষেত্রে ভিন্নতার বিষয়টি অনুধাবন করা; সাথে
 আরও জরুরি হল অনেক বিষয়ে উদারতার পরিচয় দেওয়া এবং দেখেও না দেখার ভান করা;
 কারণ সব সময় সে যা পছন্দ ও কামনা করে, তার মধ্যে মঙ্গল ও কল্যাণ হয় না, 
বরং কখনও কখনও সে যা পছন্দ ও কামনা করে না, তার মধ্যেই কল্যাণ হয়; 
আল-কুরআনের ভাষায়:</div>
<h3 dir="RTL" style="text-align: justify;">
<span style="color: maroon;">﴿
 … وَعَاشِرُوهُنَّ بِٱلۡمَعۡرُوفِۚ فَإِن كَرِهۡتُمُوهُنَّ فَعَسَىٰٓ أَن 
تَكۡرَهُواْ شَيۡ‍ٔٗا وَيَجۡعَلَ ٱللَّهُ فِيهِ خَيۡرٗا كَثِيرٗا ١٩ ﴾ 
[النساء: ١٩]  </span></h3>
<div style="text-align: justify;">
<span style="color: maroon;">“আর তোমরা 
তাদের সাথে সৎভাবে জীবন যাপন করবে; তোমরা যদি তাদেরকে অপছন্দ কর, তবে এমন 
হতে পারে যে, আল্লাহ যাতে প্রভূত কল্যাণ রেখেছেন, তোমরা তাকেই অপছন্দ করছ।”
 – (সূরা আন-নিসা, আয়াত: ১৯ )।</span></div>
<div style="text-align: justify;">
কিন্তু যখন সমস্যা প্রকাশ পাবে, পারস্পরিক
 দায়বদ্ধতার বন্ধনে শিথিলতা দেখা দিবে এবং স্ত্রীর পক্ষ থেকে অবাধ্যতা, তার
 স্বভাব চরিত্রে অহমিকা এবং তার দায়িত্ব থেকে বের হয়ে যাওয়ার প্রবণতা 
প্রকাশ পাবে; যেমন- ঘৃণার প্রকাশ পাওয়া, স্বামীর অধিকারের ব্যাপারে কমতি 
করার বিষয় এবং স্বামীর মর্যাদাকে অবজ্ঞা করার বিষয় প্রকাশ করা, তখন ইসলামে 
এর চিকিৎসা বা প্রতিকার সুস্পষ্ট; তাতে প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষ কোনোভাবেই 
তালাক প্রসঙ্গ আসবে না। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা সুস্পষ্ট কিতাবে বলেন:</div>
<h3 dir="RTL" style="text-align: justify;">
<span style="color: maroon;">﴿
 …  وَٱلَّٰتِي تَخَافُونَ نُشُوزَهُنَّ فَعِظُوهُنَّ وَٱهۡجُرُوهُنَّ فِي 
ٱلۡمَضَاجِعِ وَٱضۡرِبُوهُنَّۖ فَإِنۡ أَطَعۡنَكُمۡ فَلَا تَبۡغُواْ 
عَلَيۡهِنَّ سَبِيلًاۗ إِنَّ ٱللَّهَ كَانَ عَلِيّٗا كَبِيرٗا ٣٤ ﴾ 
[النساء: ٣٤]</span></h3>
<div style="text-align: justify;">
<span style="color: maroon;">“ … আর 
স্ত্রীদের মধ্যে যাদের অবাধ্যতার আশংকা কর তাদেরকে সদুপদেশ দাও, তারপর 
তাদের শয্যা বর্জন কর এবং তাদেরকে প্রহার কর। যদি তারা তোমাদের অনুগত হয় 
তবে তাদের বিরুদ্ধে কোনো পথ অন্বেষণ করো না। নিশ্চয় আল্লাহ শ্রেষ্ঠ, মহান।”
 – (সূরা আন-নিসা, আয়াত: ৩৪ )।</span></div>
<div style="text-align: justify;">
তাই বুঝা গেল যে, উক্ত অবস্থার প্রতিকার 
হবে উপদেশ ও দিক-নির্দেশনা প্রদানের মাধ্যমে, ভুল-ত্রুটি ধরিয়ে দেওয়ার 
মাধ্যমে, অধিকারসমূহ স্মরণ করিয়ে দেয়ার মাধ্যমে এবং আল্লাহর গজব ও ঘৃণা 
থেকে ভয় প্রদর্শন করার মাধ্যমে; সাথে আরও প্রয়োজন বুদ্ধিমত্তা ও ধৈর্যের 
পথে চলার জন্য উৎসাহ প্রদান ও ভয় প্রদর্শন করা।</div>
<div style="text-align: justify;">
আর কখনও কখনও অহমিকা ও অবাধ্যতার 
মোকাবিলায় শয্যা বর্জন ও বয়কট করা হচ্ছে এর প্রতিকার; আপনারা লক্ষ্য করুন 
যে, শয্যা বর্জন করার অর্থ শয়নকক্ষ বর্জন করা নয়; … তা হল শয্যা বর্জন করা,
 ঘর বয়কট করা নয় … পরিবার বা সন্তান বা অপরিচিত লোকজনের সামনে নয়।</div>
<div style="text-align: justify;">
উদ্দেশ্য হল প্রতিকার করা, ঘোষণা করা অথবা
 অপমান করা অথবা গোপন বিষয় প্রকাশ করা নয়; বরং উদ্দেশ্য হল বর্জন ও বয়কটের 
মাধ্যমে অবাধ্যতা ও অহংকারের মোকাবিলা করা, যা পারস্পরিক ঐক্য, সংহতি ও 
সমতার দিকে পরিচালিত করে।</div>
<div style="text-align: justify;">
আর কখনও কখনও কিছু কঠোর ও রূঢ় মনোভাবের 
মাধ্যমে প্রতিকার হতে পারে; কারণ, কিছু মানুষ এমনও রয়েছে, যাদেরকে সোজা 
করার ক্ষেত্রে উত্তম ব্যবহার ও ভদ্র কথায় কোনো কাজ হয় না; বরং তারা এমন 
শ্রেণীর মানুষ যাদেরকে অধিকাংশ সময় নম্র ব্যবহার ও সহিষ্ণুতা অবাধ্য করে 
তোলে … সুতরাং যখন কঠোরতার বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যাবে, তখন অবাধ্য ব্যক্তি 
থেমে যাবে এবং বিক্ষুব্ধ ব্যক্তি শান্ত হয়ে যাবে।</div>
<div style="text-align: justify;">
হ্যাঁ, কখনও কখনও কিছু চাপ প্রয়োগের আশ্রয়
 নেয়াটাও কার্যকর প্রতিষেধক হতে পারে; আর কেনই বা সে তার আশ্রয় নিবে না, 
অথচ দায়িত্বের প্রতি বৈরী ভাব ও স্বভাব-প্রকৃতি থেকে বের হওয়ার মত 
পরিস্থিতির উদ্ভব হয়ে যাচ্ছে?</div>
<div style="text-align: justify;">
আর সকল বিবেকবান ব্যক্তির নিকট বিদিত যে, 
কঠোরতা যখন সংসারের জন্য তার শৃঙ্খলা ও মজবুত বন্ধনকে ফিরিয়ে দিবে এবং 
পরিবারকে ফিরিয়ে দিবে ভালবাসা ও হৃদ্যতা, তখন তা নিঃসন্দেহে তালাক ও 
বিচ্ছেদের চেয়ে উত্তম; তা হবে ইতিবাচক, শিক্ষামূলক ও অর্থবহ সমাধান; ঘায়েল 
করা ও প্রতিশোধ গ্রহণের উদ্দেশ্যে নয়; বরং তার দ্বারা অবাধ্যতাকে দমন করা 
হয় এবং বিশৃঙ্খলাকে সংযত করা করা হয়।</div>
<div style="text-align: justify;">
আর যখন স্ত্রী তার স্বামীর পক্ষ থেকে 
দুর্ব্যবহার ও উপেক্ষার আশঙ্কা করবে, তখন আল-কুরআনুল কারীম তার প্রতিকারের 
দিক নির্দেশনা প্রদান করে তাঁর বাণীর মাধ্যমে, আল-কুরআনের ভাষায়:</div>
<h3 dir="RTL" style="text-align: justify;">
<span style="color: maroon;">﴿
 وَإِنِ ٱمۡرَأَةٌ خَافَتۡ مِنۢ بَعۡلِهَا نُشُوزًا أَوۡ إِعۡرَاضٗا فَلَا 
جُنَاحَ عَلَيۡهِمَآ أَن يُصۡلِحَا بَيۡنَهُمَا صُلۡحٗاۚ وَٱلصُّلۡحُ 
خَيۡرٞۗ … ﴾ [النساء: ١٢٨]</span></h3>
<div style="text-align: justify;">
<span style="color: maroon;">“আর কোনো 
স্ত্রী যদি তার স্বামীর দুর্ব্যবহার কিংবা উপেক্ষার আশংকা করে, তবে তারা 
আপোস-নিষ্পত্তি করতে চাইলে তাদের কোনো গোনাহ নেই এবং আপোস-নিষ্পত্তিই 
শ্রেয়।” – (সূরা আন-নিসা, আয়াত: ১২৮ );</span></div>
<div style="text-align: justify;">
প্রতিকার হবে আপোস-নিষ্পত্তি ও শান্তি 
স্থাপনের মাধ্যমে, তালাক ও সম্পর্ক বাতিলের মাধ্যমে নয়। আবার কখনও কখনও 
বিবাহ বন্ধনকে সুরক্ষার জন্য আর্থিক অথবা ব্যক্তিগত অধিকারের কিছু কিছু 
বিষয় ছাড় দেওয়ার মাধ্যমে প্রতিকার হতে পারে।</div>
<div style="text-align: justify;">
﴿<strong> وَٱلصُّلۡحُ خَيۡرٞۗ  </strong>﴾ [আপোস-নিষ্পত্তি উত্তম]। অবাধ্যতা, দুর্ব্যবহার, বিদ্বেষ ও তালাকের চেয়ে আপোস-নিষ্পত্তি উত্তম।</div>
<div style="text-align: justify;">
<span style="color: #993300;"><b>আমার মুসলিম ভাই ও বোন:</b></span></div>
<div style="text-align: justify;">
এটা একটা গতিশীল আবেদন এবং আল্লাহর দীনের 
ফিকহের দিক থেকে ও তাঁর বিধিবিধানের উপর ভিত্তি করে আচার-আচরণের একটি 
সংক্ষিপ্ত স্মারক; সুতরাং তার থেকে মুসলিমগণ কোথায় যাচ্ছে?</div>
<div style="text-align: justify;">
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যকার বিরোধের ব্যাপারে 
কেন সালিস নিয়োগ করা হয় না?  এ সমাধান থেকে কেন সংস্কারকগণ বিরত থাকে? সে 
কি প্রকৃত সংশোধনের ব্যাপারে অমনোযোগী, নাকি পরিবার ভাঙ্গন ও সন্তানদেরকে 
বিভক্ত করার ব্যাপারে উৎসাহী?</div>
<div style="text-align: justify;">
নিশ্চয়ই আপনি তাকে নির্বুদ্ধিতা, 
বাড়াবাড়ি, আল্লাহর ভয় ও তাঁর নজরদারী থেকে দূরুত্বে অবস্থান, তাঁর 
বিধিবিধানের অধিকাংশকে প্রত্যাখ্যান এবং তাঁর নির্ধারিত সীমা রেখার 
ব্যাপারে ছিনিমিনি খেলা ছাড়া অন্য কিছু মনে করবেন না।</div>
<div style="text-align: justify;">
ইমাম ইবনু মাজাহ ও ইবনু হিব্বান প্রমূখ গ্রন্থকারগণ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেছেন:</div>
<h3 dir="RTL" style="text-align: justify;">
<span style="color: #3366ff;"><b>«</b><b> ما</b><b>
 بال أقوام يلعبون بحدود الله . يقول أحدهم : قد طلقتك . قد راجعتك . قد 
طلقتك ؟ أيلعب بحدود الله و أنا بين أظهركم » . ( رواه ابن ماجه و ابن 
حبان  ) .</b></span></h3>
<div style="text-align: justify;">
<span style="color: #3366ff;">“কিছু 
লোকের কি হল যে তারা আল্লাহর নির্ধারিত সীমানা নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে; তাদের 
কেউ কেউ বলে: আমি তোমাকে তালাক দিলাম, আমি তোমাকে ফিরিয়ে আনলাম, আমি তোমাকে
 তালাক দিলাম? সে কি আল্লার নির্ধারিত সীমানা নিয়ে ছিনিমিনি খেলে, অথচ আমি 
তোমাদের মাঝেই রয়েছি?”[1]</span></div>
<div align="center" style="text-align: justify;">
<span style="color: #993300;"><b>দ্বন্দ্ব নিরসনের সর্বশেষ উপায়</b></span></div>
<div style="text-align: justify;">
দ্বন্দ্ব নিরসনের ব্যাপারে যখন সকল উপায় 
ব্যর্থ হবে এবং দাম্পত্য সম্পর্ক বহাল রাখা যখন কঠিন ও কষ্টকর হয়ে যাবে, 
এমনকি যখন তার সাথে আল্লাহ তা‘আলা কর্তৃক নির্ধারিত অভিষ্ট লক্ষ্য ও মহান 
তাৎপর্য বাস্তবায়ন করা না যায়, তখন শরী‘য়তের উদারতা ও তার বিধানসমূহের 
পরিপূর্ণতার প্রমাণ হচ্ছে যে, এ সঙ্কট থেকে উত্তরণের জন্য উপায় রাখা হয়েছে।
 তবে মুসলিমগণের অনেকেই শরী‘য়ত কর্তৃক অনুমোদিত সুন্নাত পদ্ধতির তালাকের 
সম্পর্কে অজ্ঞ এবং আল্লাহর সীমারেখা ও তাঁর শরী‘য়তের প্রতি লক্ষ্য রাখা 
ছাড়াই তালাক শব্দটি উচ্চারণ করে থাকে।</div>
<div style="text-align: justify;">
ঋতুবর্তীকালীন সময়ে তালাক দেয়া হারাম, 
(একসাথে) তিন তালাক প্রদান করা হারাম এবং এমন ঋতুমুক্তকালীন সময়ে তালাক 
প্রদান করাও হারাম, যাতে উভয়ের মাঝে মিলন (সহবাস) হয়েছে; সুতরাং এ ধরনের 
সকল তালাক বিদ‘আত ও হারাম (নিষিদ্ধ)। এ ধরনের তালাকদাতার পাপ হবে; কিন্তু 
আলেমগণের বিশুদ্ধ মত অনুযায়ী তালাক সংঘটিত হয়ে যাবে।</div>
<div style="text-align: justify;">
যে সুন্নাত পদ্ধতির তালাক সম্পর্কে অবহিত 
হওয়া মুসলিমগণের উপর ওয়াজিব, তা হলো:  ঋতুমুক্তকালীন সময়ে মাত্র এক তালাক 
প্রদান করা যাতে উভয়ের মিলন (সহবাস) হয়নি, অথবা গর্ভকালীন সময়ের মাঝে তালাক
 প্রদান করা।</div>
<div style="text-align: justify;">
এ পদ্ধতির উপর ভিত্তি করে তালাক প্রদান 
করা নিঃসন্দেহে একটি প্রতিকার হিসেবে বিবেচিত। কারণ, এতে স্বামী-স্ত্রী 
উভয়েই বেশ কিছু সময় পায়, সে সময়ে তারা চিন্তা-ভাবনা কিংবা পর্যালোচনা করতে 
পারে।</div>
<div style="text-align: justify;">
আর এই পদ্ধতির উপর ভিত্তি করে তালাক 
প্রদানকারীকে ঋতুমুক্তকালীন সময়ের আগমন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হচ্ছে; আর হতে
 পারে যে, তখন তার মন পরিবর্তন হবে, হৃদয় জগ্রত হবে এবং আল্লাহ তাঁর ইচ্ছা 
অনুযায়ী তাদের জন্য নতুন কোনো উপায় করে দেবেন, ফলে তাদের সম্পর্ক তালাক 
পর্যন্ত গড়াবে না।</div>
<div style="text-align: justify;">
আর ইদ্দতের সময়কাল, — চাই তা মাসিক জনিত 
ইদ্দত হউক, অথবা নির্দিষ্ট মাসসমূহের ইদ্দত হউক, অথবা গর্ভস্থ সন্তানের 
প্রসব সংশ্লিষ্ট ইদ্দত হউক— এ সময়ের মধ্যে স্ত্রীকে পুনরায় ফিরিয়ে আনা ও 
আত্মপর্যালোচনার যথেষ্ট সুযোগ থাকে; যা কখনও কখনও বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া 
ভালবাসার বন্ধন ও দাম্পত্য সম্পর্ককে মিলিয়ে দিতে পারে।</div>
<div style="text-align: justify;">
আর মুসলিমগণ যা জানে না তন্মধ্যে অন্যতম 
হল: স্ত্রীকে যখন রেজ‘য়ী (প্রত্যাবর্তনযোগ্য) তালাক দেওয়া হবে, তখন তার উপর
 আবশ্যকীয় কর্তব্য হল স্বামীর ঘরে অবস্থান করা; সে বের হবে না এবং তাকে বের
 করে দেওয়া হবে না।</div>
<div style="text-align: justify;">
বরং আল্লাহ তা‘আলা তাকে (স্বামীর ঘরকে) তার (স্ত্রীর) জন্য ঘর হিসেবে বরাদ্দ দিয়ে দিলেন; আল-কুরআনের ভাষায়:</div>
<h3 dir="RTL" style="text-align: justify;">
<span style="color: maroon;">﴿ لَا تُخۡرِجُوهُنَّ مِنۢ بُيُوتِهِنَّ ﴾ [الطلاق: ١]</span></h3>
<div style="text-align: justify;">
<span style="color: maroon;">“তোমরা তাদেরকে তাদের ঘরবাড়ি থেকে বহিষ্কার করো না” – (সূরা আত-তালাক, আয়াত:১);</span></div>
<div style="text-align: justify;">
এই আয়াতটি (ঘরে) অবস্থান করার বিষয়টিকে 
দৃঢ়তার সাথে তাদের অধিকার বলে ঘোষণা করেছে। সুতরাং তার স্বামীর ঘরে তার 
অবস্থান করার মানে তার পুনরায় প্রত্যাবর্তনের একটা পথ, ভালবাসার সহনুভূতি 
উত্থাপন করার ক্ষেত্রে আশার সূচনা এবং সম্মিলিত জীবনযাপনের বিষয়টি স্মরণ 
করানো। ফলে এই অবস্থায় তালাকের হুকুমের ক্ষেত্রে স্ত্রীর অবস্থান দূরে 
প্রতীয়মান হলেও চোখের দৃশ্যপট থেকে তার অবস্থান স্বামীর নিকটে।</div>
<div style="text-align: justify;">
আর এর দ্বারা মূলত উদ্দেশ্য হল তাদের 
মধ্যে ঘটে যাওয়া অশান্ত ঝড়কে শান্ত করা, হৃদয়ে নাড়া দেওয়া, অবস্থানসমূহ পুণ
 পর্যালোচনা এবং ধীরে-সুস্থে নিজ সংসার, শিশু ও পরিবারের সার্বিক অবস্থা 
সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা করার সুযোগ লাভ। আল-কুরআনের ভাষায়:</div>
<h3 dir="RTL" style="text-align: justify;">
<span style="color: maroon;">﴿ … لَا تَدۡرِي لَعَلَّ ٱللَّهَ يُحۡدِثُ بَعۡدَ ذَٰلِكَ أَمۡرٗا ١ ﴾ [الطلاق: ١ ]</span></h3>
<div style="text-align: justify;">
<span style="color: maroon;">“ … আপনি জানেন না, হয়ত আল্লাহ এর পর কোনো উপায় করে দেবেন।” – ( সূরা আত-তালাক, আয়াত: ১ )।</span></div>
<div style="text-align: justify;">
সুতরাং হে মুসলিমগণ! তোমরা আল্লাহর তাকওয়া
 অবলম্বন কর … এবং তোমাদের ঘর-সংসারসমূহকে হেফাযত কর; আর তোমাদের দীনের 
বিধানসমূহ জানতে ও বুঝতে শিখ … আর আল্লাহর সীমারেখা যথাযথভাবে প্রতিষ্ঠিত 
রাখ এবং তা লঙ্ঘন করো না; আর তোমারা তোমাদের নিজেদের মাঝে (সম্পর্কের) 
সংশোধন ও সংস্কার করে নাও।</div>
<div style="text-align: justify;">
হে আল্লাহ! আপনি আমাদেরকে দীনের ব্যাপারে 
সঠিক বুঝ এবং শরী‘য়তের ব্যাপারে দূরদর্শিতা দান করুন; হে আল্লাহ! আপনি 
আমাদেরকে আপনার কিতাবের হিদায়াতের মাধ্যমে উপকৃত করুন; আর আপনার নবী 
মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাতের উপর ভিত্তি করে গড়ে 
উঠা আচার-আচরণ আমাদেরকে দান করুন।</div>
<hr align="left" size="1" width="33%" />

[1] সুনানু ইবনে মাজাহ: ২০১৮; সহীহু ইবনে হিব্বান: ৪২৬৫</div>

পরিবার বিষয়ক প্রবন্ধ – স্বামী-স্ত্রীর দ্বন্দ্ব

রহমান রহীম আল্লাহ্‌ তায়ালার নামে- লেখকঃ ড. সালেহ ইবন আবদিল্লাহ ইবন হুমাইদ | অনুবাদ : মোঃ আমিনুল ইসলাম | সম্পাদনা : ড. আবু বকর ...

Video Lecture – ঈদে মীলাদুন্নবী

Video Lecture – ঈদে মীলাদুন্নবী

QuranerAlo Desk January 3, 2015 শির্‌ক ও বিদআত 1,447 post views Download article as PDF প্রবন্ধটি পড়া হলে, শেয়ার কর...

শার‘ঈ মানদণ্ডে তাবীয-কবচ এবং ঝাড়-ফুঁক

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<h1 class="name post-title entry-title" itemprop="itemReviewed" itemscope="" itemtype="http://schema.org/Thing" style="background-color: white; border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #333333; font-family: BebasNeueRegular, 'Noto Sans Bengali', SolaimanLipi, arial, Georgia, serif; font-size: 28px; font-weight: normal; list-style: none; margin: 0px 0px 10px; outline: none; padding: 0px;">
<br /></h1>
<div class="post-meta" style="background-color: white; border-bottom-color: rgb(242, 242, 242); border-style: none none solid; border-width: 0px 0px 1px; box-sizing: border-box; color: #888888; font-family: 'Droid Sans', 'Noto Sans Bengali', SolaimanLipi, Arial, Verdana, sans-serif; font-size: 12.325px; list-style: none; margin-bottom: 10px; margin-top: 7px; outline: none; padding: 0px 0px 5px;">
<span class="post-meta-author" style="border: 0px none; box-sizing: border-box; display: inline-block; list-style: none; margin: 0px 15px 0px 0px; outline: none; padding: 0px;"><span class="fa fa-user" style="-webkit-font-smoothing: antialiased; border: 0px none; box-sizing: border-box; display: inline-block; font-family: FontAwesome; font-size: inherit; font-stretch: normal; line-height: 1; list-style: none; margin: 0px 5px 0px 0px; outline: none; padding: 0px; text-rendering: auto;"></span><a href="http://www.quraneralo.com/author/abdullah-rafan/" style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #888888; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px; text-decoration: none; transition: all 0.2s ease-in-out;" title="">Abdullah Rafan</a></span> <span class="tie-date" style="border: 0px none; box-sizing: border-box; display: inline-block; list-style: none; margin: 0px 15px 0px 0px; outline: none; padding: 0px;"><span class="fa fa-clock-o" style="-webkit-font-smoothing: antialiased; border: 0px none; box-sizing: border-box; display: inline-block; font-family: FontAwesome; font-size: inherit; font-stretch: normal; line-height: 1; list-style: none; margin: 0px 5px 0px 0px; outline: none; padding: 0px; text-rendering: auto;"></span>April 19, 2015</span> <span class="post-cats" style="border: 0px none; box-sizing: border-box; display: inline-block; list-style: none; margin: 0px 15px 0px 0px; outline: none; padding: 0px;"><span class="fa fa-folder" style="-webkit-font-smoothing: antialiased; border: 0px none; box-sizing: border-box; display: inline-block; font-family: FontAwesome; font-size: inherit; font-stretch: normal; line-height: 1; list-style: none; margin: 0px 5px 0px 0px; outline: none; padding: 0px; text-rendering: auto;"></span><a href="http://www.quraneralo.com/category/topic/shirk-and-bidat/" rel="category tag" style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #888888; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px; text-decoration: none; transition: all 0.2s ease-in-out;">শির্‌ক ও বিদআত</a></span> 2,272 post views</div>
<div class="clear" style="background-color: white; border: 0px none; box-sizing: border-box; clear: both; color: #333333; font-family: 'Droid Sans', 'Noto Sans Bengali', SolaimanLipi, Arial, Verdana, sans-serif; font-size: 14.5px; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">
</div>
<div class="entry" style="background-color: white; border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #333333; font-family: 'Droid Sans', 'Noto Sans Bengali', SolaimanLipi, Arial, Verdana, sans-serif; font-size: 14.5px; line-height: 22px; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">
<div class="pdf24Plugin-cp" style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 5px;">
<form action="https://doc2pdf.pdf24.org/wordpress.php" method="post" name="pdf24Form0" style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;" target="pdf24PopWin">
</form>
<div class="pdf24Plugin-cp-link" style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">
<a href="http://en.pdf24.org/" style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #45a4d3; font-size: smaller; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px; text-decoration: none; transition: all 0.2s ease-in-out;" title="PDF">Download article as PDF</a></div>
</div>
<div class="fb-social-plugin fb-like fb_iframe_widget" data-href="http://www.quraneralo.com/rulings-of-taweez-in-islam/" data-ref="above-post" data-share="true" data-width="450" fb-iframe-plugin-query="app_id=132002536850565&container_width=0&href=http%3A%2F%2Fwww.quraneralo.com%2Frulings-of-taweez-in-islam%2F&locale=en_US&ref=above-post&sdk=joey&share=true&width=450" fb-xfbml-state="rendered" style="border: 0px none; box-sizing: border-box; display: inline-block; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px; position: relative;">
<span style="border: 0px none; box-sizing: border-box; display: inline-block; height: 20px; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px; position: relative; text-align: justify; vertical-align: bottom; width: 450px;"><iframe allowfullscreen="true" allowtransparency="true" class="" frameborder="0" height="1000px" name="f3f8632e9b1b4" scrolling="no" src="http://www.facebook.com/plugins/like.php?app_id=132002536850565&channel=http%3A%2F%2Fstaticxx.facebook.com%2Fconnect%2Fxd_arbiter.php%3Fversion%3D42%23cb%3Df37cda10448c788%26domain%3Dwww.quraneralo.com%26origin%3Dhttp%253A%252F%252Fwww.quraneralo.com%252Ff1e8de911956b84%26relation%3Dparent.parent&container_width=0&href=http%3A%2F%2Fwww.quraneralo.com%2Frulings-of-taweez-in-islam%2F&locale=en_US&ref=above-post&sdk=joey&share=true&width=450" style="border-style: none; border-width: initial; box-sizing: border-box; height: 20px; list-style: none; margin: 0px; max-width: 100%; outline: none; padding: 0px; position: absolute; visibility: visible; width: 450px;" title="fb:like Facebook Social Plugin" width="450px"></iframe></span></div>
 <br style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;" /><span style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #993300; font-size: small; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">প্রবন্ধটি পড়া হলে, শেয়ার করতে ভুলবেন না</span><br style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;" /><br style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;" /><span style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #993300; font-size: small; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;"><center style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">
রহমান রহীম আল্লাহ্‌ তায়ালার নামে-</center>
</span><br style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;" /><div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: center;">
<strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;"><a href="http://i1.wp.com/www.quraneralo.com/wp-content/uploads/2015/04/Taweez.jpg" style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #45a4d3; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px; text-decoration: none; transition: all 0.2s ease-in-out;"><img alt="Taweez" class="aligncenter size-medium wp-image-6168 tie-appear" data-recalc-dims="1" sizes="(max-width: 442px) 100vw, 442px" src="http://i1.wp.com/www.quraneralo.com/wp-content/uploads/2015/04/Taweez.jpg?resize=442%2C329" srcset="http://i1.wp.com/www.quraneralo.com/wp-content/uploads/2015/04/Taweez.jpg?resize=442%2C329 442w, http://i1.wp.com/www.quraneralo.com/wp-content/uploads/2015/04/Taweez.jpg?w=600 600w" style="border: 0px none; box-sizing: border-box; clear: both; display: block; height: auto; list-style: none; margin: 5px auto; max-width: 100%; opacity: 1; outline: none; padding: 0px; transition: all 0.4s ease-in-out; vertical-align: middle;" /></a>লেখক:</strong> আব্দুল আলীম ইবন কাওসার <strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">| সম্পাদক: </strong>ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: center;">
<img alt="Taweez" src="http://i1.wp.com/www.quraneralo.com/wp-content/uploads/2015/04/Taweez.jpg?resize=442%2C329" /></div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
<strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;"> </strong>সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহ্‌র জন্য। ছালাত এবং সালাম বর্ষিত হোক আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম–এর উপর।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
যে ব্যক্তি আল্লাহ্‌র উপর তাওয়াক্কুল ও ভরসা করে না, তার ঈমান নেই।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
মহান আল্লাহ বলেন,</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: center;">
<span style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: maroon; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">[وَعَلَى ٱللَّهِ فَتَوَكَّلُوٓاْ إِن كُنتُم مُّؤۡمِنِينَ ٢٣ ﴾ [المائ‍دة: ٢٣)</span></div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: center;">
<span style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: maroon; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">    ‘আর তোমরা আল্লাহর উপরই ভরসা কর- যদি তোমরা মুমিন হয়ে থাক’ [আল-মায়েদাহ, ২৩]</span></div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
তিনি অন্যত্র বলেন,</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: center;">
<span style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: maroon; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">[ إِنَّمَا ٱلۡمُؤۡمِنُونَ ٱلَّذِينَ إِذَا ذُكِرَ ٱللَّهُ وَجِلَتۡ قُلُوبُهُمۡ وَإِذَا تُلِيَتۡ عَلَيۡهِمۡ ءَايَٰتُهُۥ زَادَتۡهُمۡ إِيمَٰنٗا وَعَلَىٰ رَبِّهِمۡ يَتَوَكَّلُونَ ٢ ﴾ [الانفال: ٢)</span></div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: center;">
<span style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: maroon; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">‘যারা মুমিন, তারা এমন যে, যখন আল্লাহর নাম নেওয়া হয়, তখন তাদের অন্তরসমূহ ভীত হয়ে পড়ে। আর যখন তাদের সামনে তার আয়াতসমূহ পাঠ করা হয়, তখন সেই আয়াতসমূহ তাদের ঈমানকে আরও বাড়িয়ে দেয় এবং তারা তাদের প্রতিপালকের উপর ভরসা করে’ [আল-আনফাল ৩]</span></div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
বুঝা গেল, আল্লাহ্‌র উপর ভরসা ঈমানের অন্যতম একটি শর্ত। আর আল্লাহ্‌র উপর ভরসার অর্থ হচ্ছে, বান্দা মনে-প্রাণে বিশ্বাস করবে যে, সবকিছুই আল্লাহ্‌র হাতে। তিনি যা চান, তা হয়। পক্ষান্তরে যা তিনি চান না, তা হয় না। উপকার ও ক্ষতি সাধন সবকিছুই তাঁর হাতে। তিনি যাকে যা খুশী দেন আর যাকে যা খুশী দেন না। নেই কোনো ক্ষমতা এবং নেই কোনো শক্তি তিনি ব্যতীত।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুকে বলেন, <span style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: blue; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">‘হে বৎস! আমি তোমাকে কয়েকটি বাণী শিক্ষা দেব: (সেগুলি হচ্ছে) আল্লাহ্‌র আদেশ-নিষেধের হেফাযত করবে, তাহলে তিনি তোমাকে হেফাযত করবেন। আল্লাহ্‌র আদেশ-নিষেধের হেফাযত করবে, তাহলে তুমি তাঁকে তোমার সামনে পাবে। আর যখন কিছু চাইবে, তখন আল্লাহ্‌র কাছেই চাও এবং যখন সাহায্য প্রার্থনা করবে, তখন আল্লাহ্‌র কাছেই সাহায্য প্রার্থনা কর। জেনে রেখো, দুনিয়ার সবাই সম্মিলিত প্রচেষ্টায় যদি তোমার কোনো উপকার করতে চায়, তাহলে আল্লাহ তোমার জন্য যতটুকু লিখে রেখেছেন, তার বাইরে কিঞ্চিৎ পরিমাণ উপকারও তারা করতে পারবে না। পক্ষান্তরে তারা সম্মিলিত প্রচেষ্টায় যদি তোমার ক্ষতি করতে চায়, তাহলে আল্লাহ যতটুকু তোমার তাকদীরে লিখে রেখেছেন, তার বাইরে কিঞ্চিৎ পরিমাণ ক্ষতিও তারা করতে পারবে না। কলম উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং কালি শুকিয়ে গেছে (অর্থাৎ তাক্বদীর লেখা শেষ হয়ে গেছে)’</span> [<em style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">মুসনাদে আহমাদ</em><em style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">, </em><em style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">১</em><em style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">/</em><em style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">২৯৩]</em></div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
অতএব, আল্লাহ্‌র উপর ভরসা বান্দার কাঙ্খিত বস্তু হাছিলের এবং অনাকাঙ্খিত বস্তু প্রতিহতের অন্যতম কারণ ও মাধ্যম। সেজন্য যে ব্যক্তি এসব কারণকে অস্বীকার করবে, তার আল্লাহ্‌র উপর ভরসার বিষয়টি সঠিক প্রমাণিত হবে না। এসব কারণকে স্বীকার করার অর্থ এগুলির উপর ভরসা করা নয়। বরং এসব কারণের উপর নির্ভর না করা আল্লাহ্‌র উপর পূর্ণ ভরসার অন্তর্ভুক্ত। মূলকথা, বান্দার পূর্ণ ভরসা ও নির্ভরতা হতে হবে একমাত্র আল্লাহর উপর, অন্য কিছুর উপর নয়।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
কিন্তু আল্লাহ্‌র উপর বান্দার ভরসা যখন দুর্বল হয়ে যায়, তখন তার অন্তর বিভিন্ন কারণ ও মাধ্যমের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে এবং ঐ কারণসমূহের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ থেকে সে গাফেল হয়ে যায়। কখনও কখনও আল্লাহ সম্পর্কে তার গাফলতি বৃদ্ধি পেয়ে শরী‘আত অনোনুমোদিত কারণের উপর সে নির্ভর করতে শুরু করে। যুগে যুগে তাবীয ব্যবহারকারীদের অবস্থা এটাই। অত্র সংকলনে শারঈ মানদণ্ডে তাবীয-কবচ ও ঝাড়-ফুঁকের বিভিন্ন দিকের উপর নাতিদীর্ঘ একটি বিশ্লেষণের প্রয়াস করা হয়েছে। মহান আল্লাহ ক্ষুদ্র এই প্রয়াসটুকু কবূল করুন। আমীন!</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
<span style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #993300; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;"><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">‘</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">তাবীয</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">’-</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">এর পরিচয়</strong></span></div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
অসুখ-বিসুখ, চোখ লাগা বা বদনযর, জাদু, জিন-শয়তানের আছর ইত্যাদি কোনো সম্ভাব্য বা ঘটিত অকল্যাণ দূর করতে অথবা কোনো কল্যাণ লাভের উদ্দেশ্যে পূতিঁ, কাঠ, হাড়, সূতা, কাগজ ইত্যাদি দেহে, গৃহে, গাড়ীতে বা অন্য কিছুতে ঝুলানোকে ‘তাবীয’ বলে। এই অর্থে যিক্‌র-আযকার ও দু‘আ চামড়া, কাগজ বা অন্য কিছুতে লিখে ঝুলালে তাও তাবীযের আওতায় পড়বে। বাসা-বাড়ীর ফটকে বা কোনো স্থানের সম্মুখভাগে ঘোড়ার পায়ের নাল ঝুলানোও তাবীযের অন্তর্ভুক্ত। অনুরূপভাবে গাড়ীর পেছনে বা সামনে জুতা-সেন্ডেল ঝুলানো বা গাড়ীর ভেতরের আয়নায় নীল পূঁতি, তাসবীহ ইত্যাদি ঝুলানোও তাবীযের অন্তর্ভুক্ত। এসব জিনিস রোগীর বা সাধারণ কোনো ব্যক্তির বালিশ বা বিছানার নীচে অথবা অন্য কোথাও বিশেষ নিয়্যতে রাখলে তাও তাবীয বলে গণ্য হবে।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
<span style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #993300; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;"><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">জাহেলী যুগে</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;"> ‘</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">তাবীয</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">’</strong></span></div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
‘তাবীয’ ছিল জাহেলী যুগের বহুলপ্রচলিত একটি বিষয়। সম্ভাব্য অসুখ-বিসুখ, চোখ লাগা, নানা বিপদাপদ, বালা-মুছীবত ইত্যাদি থেকে নিজেদেরকে এবং গৃহপালিত পশুকে বাঁচানোর জন্য জাহেলী যুগের লোকেরা ‘তাবীয’ ঝুলাতো। ক্ষতিকর আত্মার -তাদের বিশ্বাস মতে- উপর বিজয় লাভও তাদের তাবীয ঝুলানোর আরেকটি অন্যতম কারণ ছিল।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
জাহেলী যুগের আরবরা যখন নির্জন কোনো প্রান্তে যেত, তখন তারা জিন, শয়তান ইত্যাদির ক্ষতির আশঙ্কা করত। ফলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে উচ্চ স্বরে বলত, আমরা এই উপত্যকার ছোট ছোট জীনগুলো থেকে বাঁচার জন্য বড় সরদারের কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। তাদের বিশ্বাস মতে, এই আশ্রয় প্রার্থনার কারণে কেউ তাদের ক্ষতি করত না।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
এই শির্কী আশ্রয় প্রার্থনার পাশাপাশি জাহেলী যুগের লোকেরা জিনের ক্ষতি থেকে বাঁচার জন্য পশু কুরবানীর মাধ্যমে তাদের সান্নিধ্য লাভের প্রয়াস চালাত। কেউ বাড়ী বানালে বা কূপ খনন করলে সে জিনের ক্ষতি থেকে বাঁচার জন্য পশু যবেহ করত।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
তারা বিশ্বাস করত, কিছু কিছু পাথর, গাছ, প্রাণী এবং খণিজ পদার্থে এমন বৈশিষ্ট্য আছে, যা তাদেরকে জিনের ক্ষতি এবং মানুষের বদনযর থেকে বাঁচাতে পারে। সেজন্য তারা সেগুলিকে তাবীয হিসাবে ঝুলাত এবং সেগুলির উপর তাদের অন্তঃকরণসমূহকে নির্ভরশীল করে ফেলত। এ সবকিছুর মূলে ছিল মহান প্রভূ সম্পর্কে তাদের চরম মূর্খতা ও অজ্ঞতা এবং তাঁর প্রতি তাদের অনাস্থা। সেকারণে তাদের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের তাবীযের সমারোহ দেখা যেত। যেমন:</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
১.<strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;"> ‘নুফরা’</strong> নামক এক প্রকার তাবীয, যা তারা চোখ লাগার ভয়ে বাচ্চাদের দেহে ঝুলাত। কখনও কখনও তারা এই নুফরাকে অপবিত্র জিনিস দিয়ে তৈরী করত। যেমন: হায়েযের নেকড়া। আবার কখনও তা তৈরী করত নিকৃষ্ট নাম দিয়ে।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
২. শিয়াল বা বিড়ালের দাঁত।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
৩. <strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">‘আক্বরা’</strong> নামের এক প্রকার তাবীয, যা মহিলারা গর্ভধারণ না করার অভিপ্রায়ে কোমরে বাঁধত।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
৪.<strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;"> ‘ইয়ানজালিব’</strong> নামক এক প্রকার তাবীয, যা রাগান্বিত স্বামীকে ফিরিয়ে আনার জন্য এবং তার সহানুভূতি লাভের জন্য ব্যবহার করা হত।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
৫. <strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">‘তিওয়ালা’</strong> নামের এক প্রকার তাবীয, যা স্বামীর ভালোবাসা অর্জনের উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হত।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
৬. <strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">‘ক্বুবলা’</strong> নামের এক প্রকার সাদা পুঁতি, যা চোখ লাগা থেকে রক্ষার জন্য ঘোড়ার গলায় ঝুলানো হত।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
৭. <strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">‘তাহ্‌বীতা’</strong> নামক লাল এবং কালো রংয়ের পাকানো সূতা, যা মহিলারা চোখ লাগা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য মাজায় বেঁধে রাখত।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
<span style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #993300; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;"><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">ইসলাম পরবর্তী যুগে</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;"> ‘</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">তাবীয</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">’</strong></span></div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
জাহেলী যুগের মানুষ কল্যাণ সাধনে ও অকল্যাণ দূরীকরণে আল্লাহকে ছেড়ে তাবীয-কবচের উপর নির্ভর করত, যা মূর্খতা, ভ্রষ্টতা এবং শির্ক বৈ আর কিছুই নয়। তাওহীদের সাথে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক হওয়ায় ইসলাম কঠোরভাবে তাবীযকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
ক্বায়েস ইবনে সাকান আল-আসাদী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, <span style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: blue; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">একদা আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু তাঁর স্ত্রীর কাছে গিয়ে তাঁর দেহে লাল তাবীয দেখতে পেয়ে তা ছিড়ে ফেললেন এবং বললেন, “নিশ্চয়ই আব্দুল্লাহর পরিবার শির্কমুক্ত”। তিনি আরো বললেন, আমরা রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম–এর কাছ থেকে এই হাদীছটি মুখস্থ করেছি: নিশ্চয়ই (নিষিদ্ধ) ঝাড়ফুঁক, তাবীয এবং স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ভালোবাসা সৃষ্টিকারী বিশেষ তাবীয (তিওয়ালা) শির্কের অন্তর্ভুক্ত</span>[1]। তাবীয নিষিদ্ধকারী আরো কিছু অকাট্য দলীল ‘পবিত্র কুরআনকে বা কুরআনের কোনো আয়াতকে তাবীয হিসাবে ব্যবহার প্রসঙ্গ’ শিরোনামের অধীনে উল্লেখ করা হয়েছে।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
<span style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #993300; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;"><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">ইসলামে তাবীয ঝুলানোর বিধান</strong></span></div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
তাবীয কি দিয়ে তৈরী, তাবীয ঝুলানোর লক্ষ্য-উদ্দেশ্য কি, তাবীয ঝুলানোর পেছনে তাবীয ব্যবহারকারীর বিশ্বাসইবা কি- এ ভিন্ন ভিন্ন অবস্থার প্রেক্ষিতে তাবীযের বিধানও বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। যেমন:</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
<span style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #993300; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;"><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">১</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">. </strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">জিন</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">, </strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">শয়তান</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">, </strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">মানুষ বা অন্য কোনো সৃষ্টির কাছে সাহায্য প্রার্থনা করে লিখিত তাবীয</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">: </strong></span>এ প্রকার তাবীয বড় শির্কের অন্তর্ভুক্ত। এ প্রকার তাবীয ব্যবহারকারী ইসলামের গণ্ডি থেকে বের হয়ে যাবে এবং পরকালে সে জাহান্নামের স্থায়ী বাসিন্দা হবে। কেননা আল্লাহ ছাড়া অন্যের কাছে এমন বিষয়ের সাহায্য প্রার্থনা করা শির্ক, যে বিষয়ে সাহায্য করার ক্ষমতা তার নেই। মহান আল্লাহ বলেন,</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: center;">
<span style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: maroon; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">[قُلۡ أَفَرَءَيۡتُم مَّا تَدۡعُونَ مِن دُونِ ٱللَّهِ إِنۡ أَرَادَنِيَ ٱللَّهُ بِضُرٍّ هَلۡ هُنَّ كَٰشِفَٰتُ ضُرِّهِۦٓ أَوۡ أَرَادَنِي بِرَحۡمَةٍ هَلۡ هُنَّ مُمۡسِكَٰتُ رَحۡمَتِهِۦۚ﴾ [الزمر: ٣٨)</span></div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: center;">
<span style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: maroon; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">‘বলুন, তোমরা ভেবে দেখেছ কি, যদি আল্লাহ আমার অনিষ্ট করার ইচ্ছা করেন, তবে তোমরা আল্লাহ ব্যতীত যাদেরকে ডাক, তারা কি সে অনিষ্ট দূর করতে পারবে? অথবা তিনি আমার প্রতি রহমত করার ইচ্ছা করলে তারা কি সে রহমত রোধ করতে পারবে?’ [<em style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">আয</em><em style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">–</em><em style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">যুমার</em><em style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">,</em><em style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">৩৮]</em></span></div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
অনুরূপভাবে রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: center;">
<span style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: blue; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">‘যে ব্যক্তি তাবীয ঝুলালো, সে শির্ক করল’ [<em style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">আহমাদ</em><em style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">, </em><em style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">হাকেম]</em></span></div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
<span style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #993300; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;"><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">২</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">. </strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">বিভিন্ন প্রকার নকশা</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">, </strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">চিত্র</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">, </strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">জা</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">দুমন্ত্র</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">, </strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">নাম</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">, </strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">শব্দ সম্বলিত তাবীয</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">, </strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">যেগুলির অর্থ বোধগম্য নয়</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">: </strong></span>এ প্রকারের তাবীয হারাম। কেননা এগুলি মানুষকে শির্কের দিকে নিয়ে যায়।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
<span style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #993300; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;"><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">৩</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">. </strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">বালা</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">–</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">মুছীবত দূর করার জন্য পূঁতি</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">, </strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">রিং</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">, </strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">সূতা</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">, </strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">আংটি ইত্যাদি ঝুলানো</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">: </strong></span>এগুলি ঝুলিয়ে যদি কেউ বিশ্বাস করে যে, খোদ এগুলি বালা-মুছীবত দূর করতে সক্ষম, তাহলে সে বড় শির্ক করল। কেননা সে আল্লাহ্‌র সাথে অন্য কিছুকে শরীক স্থাপন করল। পক্ষান্তরে যদি সে বিশ্বাস করে যে, উপকার-ক্ষতি শুধুমাত্র এক আল্লাহ্‌র হাতে; কিন্তু পূঁতি, রিং, সূতা, আংটি ইত্যাদি কারণ মাত্র, তাহলে সে এমন কিছু বস্তুকে কারণ বানালো, যেগুলিকে আল্লাহ কারণ বানান নি। ফলে এই বিশ্বাস রেখে ঐসব জিনিস ঝুলালে তা হারাম বলে গণ্য হবে এবং ছোট শির্কে পরিণত হবে।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
মোদ্দাকথা: এগুলির ব্যবহারকারী যদি বিশ্বাস করে যে, আল্লাহ ব্যতীত এসব জিনিসের নিজস্ব শক্তি রয়েছে, তাহলে সে বড় শির্ককারী হিসাবে গণ্য হবে। পক্ষান্তরে যদি সে বিশ্বাস করে যে, সবকিছু আল্লাহ্‌র হাতে; কিন্তু এগুলি মাধ্যম মাত্র এবং এগুলির নিজস্ব কোনো শক্তি নেই, তাহলে সে ছোট শির্ককারী হিসাবে গণ্য হবে। কেননা সে শরী‘আতে অনোনুমোদিত কারণকে কারণ হিসাবে গ্রহণ করেছে এবং আল্লাহ ছাড়া অন্যের দিকে তার অন্তর ঝুঁকে পড়েছে। তার অন্তর যদি এসব জিনিসের প্রতি নির্ভরশীল হয়ে পড়ে এবং সে এগুলির মাধ্যমে কল্যাণ সাধন ও অকল্যাণ দূরীকরণের আশা করে, তাহলে তার এই আমল বড় শির্কের মাধ্যম হিসাবে গণ্য হবে।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
<span style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #993300; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;"><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">৪</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">. </strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">কুরআনের আয়াত</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">, </strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">হাদীছ বা মাসনূন দু</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">‘</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">আ সম্বলিত তাবীয</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">: </strong></span>এ প্রকারের তাবীয নিয়ে উলামায়ে কেরামের মধ্যে মতভেদ আছে, যে সম্পর্কে অত্র সংকলনে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
<span style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #993300; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;"><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">তাবীয কখন</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;"> ‘</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">বড় শির</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">ক</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">’ </strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">হবে এবং কখন</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;"> ‘</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">ছোট শির</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">ক</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">’ </strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">হবে</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">?</strong></span></div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
কেউ যদি তাবীয ঝুলিয়ে আল্লাহ ব্যতীত তার ইবাদত করে, তাহলে তা ‘বড় শির্ক’ হিসাবে গণ্য হবে। অনুরূপভাবে তাবীয ব্যবহারকারী যদি বিশ্বাস করে যে, আল্লাহ্‌র ইচ্ছা ছাড়াই এই তাবীযই তাকে হেফাযত করছে, তার রোগ-বালাই দূর করছে বা তার থেকে অকল্যাণ দূর করছে, তাহলে তাও ‘বড় শির্ক’ বলে গণ্য হবে। পক্ষান্তরে যদি কেউ বিশ্বাস করে যে, এই তাবীয চোখ লাগা ও বালা-মুছীবত থেকে তার মুক্তির কারণ, তাহলে তা ‘ছোট শির্ক’ হিসাবে গণ্য হবে।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
বড় শির্ক এবং ছোট শির্কের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে, বড় শির্ককারীর উপর মুসলিম শাসক ‘রিদ্দার হদ্‌’ কায়েম করবে। আর তার সমস্ত নেক আমল বরবাদ হয়ে যাবে। মহান আল্লাহ বলেন,</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: center;">
<span style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: maroon; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">[ وَلَقَدۡ أُوحِيَ إِلَيۡكَ وَإِلَى ٱلَّذِينَ مِن قَبۡلِكَ لَئِنۡ أَشۡرَكۡتَ لَيَحۡبَطَنَّ عَمَلُكَ وَلَتَكُونَنَّ مِنَ ٱلۡخَٰسِرِينَ ٦٥ ﴾ [الزمر: ٦٥)</span></div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: center;">
<span style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: maroon; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">‘নিশ্চয়ই আপনার প্রতি এবং আপনার পূর্ববর্তীদের প্রতি অহি হয়েছে যে, যদি আপনি আল্লাহ্‌র সাথে শরীক স্থির করেন, তাহলে নিঃসন্দেহে আপনার কর্ম নিষ্ফল হয়ে যাবে এবং অবশ্যই অবশ্যই আপনি ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবেন’ [<em style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">আয</em><em style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">–</em><em style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">যুমার</em><em style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">, </em><em style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">৬৫]</em></span></div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
ছোট শির্ক বলে অবহেলা করার কোনো সুযোগ নেই। মনে রাখতে হবে, ছোট শির্ক অপরাপর কাবীরা গোনাহ বা বড় পাপের চেয়েও বড় পাপ<em style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">(</em><em style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">ফাতহুল মাজীদ শারহু কিতাবিত</em><em style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">–</em><em style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">তাওহীদ</em><em style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">/</em><em style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">১২১</em><em style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">)</em>।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
<span style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #993300; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;"><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">পবিত্র কুরআনকে বা কুরআনের কোনো আয়াতকে তাবীয হিসাবে ব্যবহার প্রসঙ্গ</strong></span></div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
কুরআন থেকে তাবীয বিভিন্নভাবে হতে পারে। যেমন: (১) কাগজে পবিত্র কুরআনের আয়াত লিখে তাবীয হিসাবে ব্যবহার করা। (২) কুরআন মাজীদকে খুব ছোট আকারে প্রিন্ট করে তাবীয হিসাবে ব্যবহার করা। (৩) কেউ কেউ কুরআন মাজীদকে দেহে না ঝুলিয়ে সঙ্গে করে নিয়ে বেড়ায়। (৪) কেউ কেউ আবার কুরআনের আয়াতকে স্বর্ণ বা রৌপ্য খণ্ডে লিখে তা তাবীয হিসাবে ব্যবহার করে।‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
তাবীয যদি কুরআন ও মাসনূন দু‘আ দিয়ে না হয়, তাহলে উলামায়ে কেরামের ঐক্যমতের ভিত্তিতে তা হারাম। তবে তাবীয কুরআন ও মাসনূন দু‘আ দিয়ে হলে তা ব্যবহার করা যাবে কিনা সে বিষয়ে মতভেদ আছে।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
<span style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #993300; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;"><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">প্রথম মত</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">:</strong></span> তাবীয কুরআন দিয়ে হলেও তা ব্যবহার করা নিষেধ। <strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">আব্দুল্লাহ ইবনে উকাইম, আব্দুল্লাহ ইবনে আমর, উক্ববাহ ইবনে আমের, আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ, আসওয়াদ, আলক্বামাহ, ইবরাহীম নাখাঈ (রহেমাহুমুল্লাহ)</strong> প্রমুখ এমতের পক্ষাবলম্বন করেছেন। তাঁদের দলীলসমূহ:</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
১. তাবীয নিষিদ্ধকারী দলীলসমূহে সাধারণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। তাবীযের কোন্‌টি কুরআন থেকে এবং কোন্‌টি কুরআন থেকে নয়, সেগুলিতে এজাতীয় কোনো পার্থক্যের উল্লেখ নেই। আর উছূলে ফিক্বহের একটি মূলনীতি হচ্ছে, শরী‘আতের সাধারণ কোনো আদেশ-নিষেধ(عام)  সাধারণই থাকবে, যতক্ষণ তাকে নির্দিষ্টকারী (مخصِّص) কোনো দলীল না আসবে। তাবীয নিষিদ্ধকারী সাধারণ দলীলসমূহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হচ্ছে:</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
<strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">(</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">ক</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">)</strong> উক্ববা ইবনে আমের আল-জুহানী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, <span style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: blue; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম–এর কাছে একটি দল আসলে তিনি তাঁদের ৯ জনের বায়‘আত গ্রহণ করলেন, কিন্তু একজনের বায়‘আত গ্রহণ করলেন না। তাঁরা জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহ্‌র রাসূল! আপনি ৯ জনের বায়‘আত গ্রহণ করলেন, কিন্তু এই ব্যক্তির বায়‘আত গ্রহণ করলেন না? তিনি বললেন, তার দেহে তাবীয আছে। অতঃপর তিনি তাঁর হাত ঢুকিয়ে তাবীযটি ছিড়ে ফেললেন। এরপর তার বায়‘আত গ্রহণ করলেন এবং বললেন, ‘যে ব্যক্তি তাবীয ঝুলালো, সে শির্ক করল’</span>[2]।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
<strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">(</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">খ</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">)</strong> তিনি অন্যত্র বলেন, <span style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: blue; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">‘নিশ্চয়ই (নিষিদ্ধ) ঝাড়ফুঁক, তাবীয এবং স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ভালোবাসা সৃষ্টিকারী বিশেষ তাবীয (তিওয়ালা) শির্কের অন্তর্ভুক্ত’</span>[3]।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
<strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">(</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">গ</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">) </strong>আব্দুল্লাহ ইবনে উকাইম রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, <span style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: blue; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো কিছু ঝুলাবে, তাকে তার দিকে ঠেলে দেওয়া হবে’</span>[4]।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
এসব হাদীছে সাধারণভাবে সব ধরনের তাবীয নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কোন্‌টি কুরআন থেকে এবং কোন্‌টি কুরআন থেকে নয়, তার কোনো পার্থক্য করা হয়নি।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
২. এই আমল যদি শরী‘আত সম্মত হত, তাহলে রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম অবশ্যই তাঁর উম্মতকে তা বলে দিতেন। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, যিক্‌র-আযকার ও দু‘আ সম্বলিত সবগুলি হাদীছ বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, সেগুলিতে বলা হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি যিক্‌রটি বা দু‘আটি বলবে’, ‘যে ব্যক্তি যিক্‌রটি বা দু‘আটি পড়বে’। একটি হাদীছেও বলা হয়নি, ‘যে ব্যক্তি যিক্‌রটি বা দু‘আটি লিখবে’, ‘যে ব্যক্তি যিক্‌রটি বা দু‘আটি ঝুলাবে’। সেজন্য ইবনুল আরাবী (রহেমাহুল্লাহ) বলেছেন, কুরআন ঝুলানো সুন্নাত নয়; বরং সুন্নাত হচ্ছে, কুরআন তেলাওয়াত করা ও গবেষণা করা।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
৩. শির্কের দ্বার বন্ধ করার মহান উদ্দেশ্যে এ প্রকারের তাবীযও অবৈধ হবে। আমরা যদি বলি যে, কুরআন এবং ছহীহ সুন্নাহ দ্বারা লিখিত তাবীয বৈধ, তাহলে শির্কের দরজা উন্মুক্ত হবে এবং অবৈধ তাবীযের সাথে বৈধ তাবীযের সংমিশ্রণ ঘটে যাবে। ফলে এতদুভয়ের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করা বড়ই কষ্টসাধ্য হয়ে যাবে। তাছাড়া বিভ্রান্ত ও পথভ্রষ্ট দা‘ঈরা এবং তাবীয ব্যবসায়ীরা এটিকে সুযোগ হিসাবে গ্রহণ করবে।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
৪. কুরআনকে তাবীয হিসাবে ব্যবহার করলে কুরআনের অবমাননা করা হয়। ব্যবহারকারী এই তাবীয নিয়ে টয়লেট, নাপাক স্থান ইত্যাদিতে গিয়ে থাকে, যেসব স্থানে কুরআন নিয়ে যাওয়া সম্পূর্ণ নিষেধ। আর ব্যবহারকারী যদি বাচ্চা হয়, তাহলে তো কথাই নেই।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
<span style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #993300; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;"><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">দ্বিতীয় মত</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">:</strong></span> তাবীয যদি কুরআন থেকে হয়, তাহলে তা ব্যবহার করা বৈধ। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা, আবূ জা‘ফর মুহাম্মাদ ইবনে আলী প্রমুখ থেকে এই মতটি উল্লেখ করা হয়। নিম্নোক্ত হাদীছটি তাঁদের দলীল: রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, <span style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: blue; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">‘যে ব্যক্তি কোনো কিছু ঝুলাবে, তাকে তার দিকে ঠেলে দেওয়া হবে’[5]।</span></div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
তাঁরা বলেন, উক্ত হাদীছের বক্তব্য অনুযায়ী স্পষ্ট বুঝা যায়, যে ব্যক্তি শির্কী তাবীয ঝুলাবে, তাকে সেদিকে ঠেলে দেওয়া হবে। কিন্তু কেউ কুরআন ঝুলালে স্বয়ং আল্লাহ তার দায়িত্ব নিবেন; তাকে তিনি ছাড়া অন্য কোনো কিছুর দিকে ঠেলে দিবেন না। কারণ ইসলামী শরী‘আতে কুরআন দ্বারা আরোগ্য লাভের নির্দেশনা এসেছে।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
তাঁদের এই উপলব্ধির জবাবে বলা যায়, ইসলামী শরী‘আতে কুরআন দ্বারা আরোগ্য লাভের নির্দেশনা যেমন এসেছে, তেমনি কুরআন দ্বারা আরোগ্য লাভের পদ্ধতিও বলে দেওয়া হয়েছে। আর তা হচ্ছে, কুরআন তেলাওয়াত, গবেষণা, কুরআনকে জীবন বিধান হিসাবে গ্রহণ এবং শরী‘আত অনুমোদিত ঝাড়-ফুঁক। সুতরাং কেউ যদি সত্যিকার অর্থে কুরআন তেলাওয়াত করে, কুরআনের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন করে, কুরআনের অনুসরণ করে এবং এর বিধি-বিধান বাস্তবায়ন করে, তাহলে সে সুস্থতা, নিরাপত্তা এবং শান্তি অর্জন করবেই; যা কুরআন ঝুলিয়ে অর্জন করা আদৌ সম্ভব নয়।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
তাছাড়া কুরআন ঝুলালে যদি আল্লাহ দায়িত্ব নিয়ে নিতেন, তাহলে কুরআন তেলাওয়াতের প্রয়োজন পড়ত না; প্রয়োজন পড়ত না কুরআন ও ছহীহ হাদীছে উল্লেখিত যিক্‌র-আযকার ও দু‘আ পড়ার। ফলে এতোসব যিক্‌র-আযকার ও দু‘আ এবং শরী‘আত সম্মত ঝাড়-ফুঁক অনর্থক হয়ে যেত।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
আরেকটি বাস্তব বিষয় হচ্ছে, যখন কেউ কুরআনের আয়াতকে তাবীয বানিয়ে ঝুলায়, তখন তার মনটা আল্লাহ থেকে দূরে সরে ঐ তাবীযের দিকে ঝুঁকে পড়ে। সেজন্য দেখা যায়, তার কাছ থেকে ঐ তাবীয খুলে নিলেই সে বালা-মুছীবত ও বিপদাপদের ভয় পায়। অথচ আল্লাহ্‌র উপর পূর্ণ ভরসা করলে কারো মনে কখনও এমন অবস্থার উদ্রেক হবে না।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
উপরিউক্ত সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনা শেষে বলা যায়, প্রথমোক্ত মতটিই গ্রহণযোগ্য মত। কারণ এমতের পক্ষের দলীলগুলি অত্যন্ত স্পষ্ট এবং শক্তিশালী। তদুপরি এমতের মাধ্যমে আল্লাহ্‌র একত্ববাদকে নির্ভেজাল ও কলুষমুক্ত রাখা সম্ভব হয়।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
<span style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #993300; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;"><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">কুরআন দিয়ে তাবীয বানানো প্রসঙ্গে কয়েক জন আলেমের বক্তব্য:</strong></span></div>
<ul style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px 0px 20px 15px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
<li style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: disc outside none; margin: 0px 0px 5px; outline: none; padding: 0px;">শায়খ সুলায়মান ইবনে আব্দুল ওয়াহ্‌হাব (রহেমাহুল্লাহ) কুরআন দিয়ে তাবীয বানানো প্রসঙ্গে ছাহাবায়ে কেরাম (রাযিয়াল্লাহু আনহুম) এবং ত‍‌ৎপরবর্তী যুগের কতিপয় উলামায়ে কেরামের মধ্যকার মতভেদ উল্লেখ করার পর বলেন,<span style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: green; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;"> ‘এই যদি হয় পবিত্র কুরআন এবং আল্লাহ্‌র নাম ও গুণাবলী ঝুলানো নিয়ে উলামায়ে কেরামের মধ্যে মতভেদ, তাহলে তাঁদের পরে শয়তানদের নাম নিয়ে ঝাড়-ফুঁক করা, তাদের নাম ঝুলানো, তাদের উপর নির্ভরশীল হওয়া, তাদের কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করা, তাদের নামে যবেহ করা, তাদের কাছে অকল্যাণ দূরীকরণ এবং কল্যাণ সাধনের প্রার্থনা করার মত যেসব স্পষ্ট শির্কের জন্ম হয়েছে, সেগুলি সম্পর্কে আপনার ধারণা কি?![6]’</span></li>
<li style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: disc outside none; margin: 0px 0px 5px; outline: none; padding: 0px;">শায়খ হাফেয হাকামী রহ. ছাহাবায়ে কেরাম (রাদিয়াল্লাহু আনহুম) এবং ত‍‌ৎপরবর্তী যুগের কতিপয় উলামায়ে কেরামের মধ্যকার মতভেদ উল্লেখ করে বলেন, ‘<span style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: green; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">বিশেষ করে আমাদের এই যামানায় নিষিদ্ধ আক্বীদার দুয়ার বন্ধ করার মহান উদ্দেশ্যে এই প্রকারের তাবীযও যে নিষিদ্ধ হিসাবে গণ্য হবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কেননা পাহাড় সদৃশ মযবূত ঈমানে বলিষ্ঠ বেশীর ভাগ ছাহাবায়ে কেরাম এবং তাবেঈন যেহেতু সেই সোনার যুগে কুরআন দিয়ে তৈরী তাবীয ঝুলানোকে অপছন্দ করেছেন, সেহেতু এই ফেৎনার যুগে তা অপছন্দ করা অধিক যুক্তিসঙ্গত এবং বাঞ্ছনীয়। আজ তাবীয ব্যবসায়ীরা মতভেদের এই সুযোগকে দারুণভাবে কাজে লাগিয়ে এটিকে স্পষ্ট হারামে পরিণত করছে। তারা তাবীযে কুরআনের আয়াত ও সূরা লিখে তার নীচে জাদুমন্ত্রের অদ্ভুত সব দাগ টানে এবং নানা ধরনের সংখ্যা লিখে। আল্লাহ্‌র উপর ভরসা করা থেকে মানুষের অন্তরকে ফিরিয়ে এনে তারা তাদের লিখিত জাদুমন্ত্রের দিকে তাদেরকে ঠেলে দেয়।…কিন্তু তাবীয যদি কুরআন ও ছহীহ সুন্নাহ দিয়ে না হয়, তাহলে তা ঝুলানো নিঃসন্দেহে শির্ক। কেননা তাবীয যেমন বালা-মুছীবত দূরীকরণের বৈধ কোনো মাধ্যম নয়, তেমনি তা কোনো ওষুধ হিসাবেও গণ্য নয়[7]।</span></li>
<li style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: disc outside none; margin: 0px 0px 5px; outline: none; padding: 0px;">শায়খ উছায়মীন কুরআনের আয়াত দিয়ে তৈরীকৃত তাবীয সম্পর্কে উলামায়ে কেরামের মতভেদ উল্লেখ করার পর বলেন, <span style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: green; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">তাবীয কুরআন দিয়ে তৈরী হলেও তা ঝুলানো বৈধ নয়। অনুরূপভাবে তা কোনো রোগীর বালিশের নীচে রাখা অথবা দেওয়াল বা অন্য কিছুতে ঝুলানোও বৈধ নয়[8]।</span></li>
</ul>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
<span style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #993300; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;"><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">তাবীয কি রোগমুক্তির কারণ হতে পারে</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">?</strong></span></div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
মহান আল্লাহ বলেন,</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: center;">
<span style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: maroon; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;"> [ وَإِن يَمۡسَسۡكَ ٱللَّهُ بِضُرّٖ فَلَا كَاشِفَ لَهُۥٓ إِلَّا هُوَۖ وَإِن يَمۡسَسۡكَ بِخَيۡرٖ فَهُوَ عَلَىٰ كُلِّ شَيۡءٖ قَدِيرٞ ١٧ ﴾ [الانعام: ١٧)</span></div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: center;">
<span style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: maroon; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">‘আর যদি আল্লাহ তোমার কোনো ক্ষতি সাধন করেন, তবে তিনি ব্যতীত তা অপসারণকারী আর কেউই নেই। পক্ষান্তরে তিনি যদি তোমার কোনো কল্যাণ করেন, তবে তিনি সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান’। [<em style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">আল</em><em style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">–</em><em style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">আন</em><em style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">‘</em><em style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">আম</em><em style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">, </em><em style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">১৭]</em></span></div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
তিনি অন্যত্র বলেন,</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: center;">
<span style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: maroon; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">[ وَإِن يَمۡسَسۡكَ ٱللَّهُ بِضُرّٖ فَلَا كَاشِفَ لَهُۥٓ إِلَّا هُوَۖ وَإِن يُرِدۡكَ بِخَيۡرٖ فَلَا رَآدَّ لِفَضۡلِهِۦۚ يُصِيبُ بِهِۦ مَن يَشَآءُ مِنۡ عِبَادِهِۦۚ وَهُوَ ٱلۡغَفُورُ ٱلرَّحِيمُ ١٠٧ ﴾ [يونس: ١٠٧)</span></div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: center;">
<span style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: maroon; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">‘আর যদি আল্লাহ তোমার কোনো ক্ষতি সাধন করেন, তবে তিনি ব্যতীত তা অপসারণকারী আর কেউই নেই। পক্ষান্তরে তিনি যদি তোমার কোনো কল্যাণ করতে চান, তবে তার মেহেরবানীকে অপসারণকারী কেউই নেই। তিনি তার বান্দাদের মধ্য হতে যাকে চান, তাকে স্বীয় অনুগ্রহ দান করেন। বস্তুত তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল, অতিশয় দয়ালু’ [<em style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">ইউনুস</em><em style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">, </em><em style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">১০৭]</em></span></div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
উল্লেখিত আয়াতদ্বয়ের মত পবিত্র কুরআনের আরো বহু আয়াত স্পষ্ট প্রমাণ করে যে, একমাত্র আল্লাহ ব্যতীত আর কেউ অনিষ্ট দূর করতে পারে না। সেজন্য বান্দা কল্যাণ অর্জনে এবং অকল্যাণ দূরীকরণে সেই আল্লাহ্‌র নিকটেই আশ্রয় গ্রহণ করবে। কারণে বা কারণ ছাড়াই মহান আল্লাহ কল্যাণ সাধন ও অকল্যাণ দূরীকরণ উভয়ই করতে পারেন।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
আর যেসব কারণে আল্লাহ বান্দার কল্যাণ বা অকল্যাণ করেন, সেগুলি দুই ধরনের:</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
<span style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #993300; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;"><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">(</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">১</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">) </strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">শরী</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">‘</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">আত অনুমোদিত কারণ</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">:</strong></span> মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছ দ্বারা যেগুলিকে ‘কারণ’ হিসাবে নির্ধারণ করেছেন, সেগুলি শরী‘আত অনুমোদিত কারণ বলে গণ্য হবে। যেমন: দু‘আ, শরী‘আতসম্মত ঝাড়-ফুঁক। এগুলি আল্লাহ্‌র ইচ্ছায় বান্দার কল্যাণ লাভের বা অকল্যাণ দূরীকরণের শরী‘আত সম্মত কারণ হিসাবে পরিগণিত। সুতরাং যারা এই কারণগুলিকে কারণ হিসাবে গ্রহণ করবে, মূলতঃ তারা আল্লাহ্‌র নিকটেই আশ্রয় প্রার্থনা করবে। কেননা খোদ আল্লাহই সেগুলিকে কারণ হিসাবে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন এবং স্পষ্ট বলে দিয়েছেন যে, বান্দা শুধুমাত্র তার উপরই নির্ভর করবে; কারণের উপরে নয়। এর অন্তর্নিহিত কারণ হচ্ছে, যে মহান সত্ত্বা সেগুলিকে কারণ হিসাবে নির্ধারণ করেছেন, তিনি সেগুলির প্রভাব অকেজো করে দিতে পারেন। অতএব, সর্বাবস্থায় কেবলমাত্র তাঁর উপরেই নির্ভর করতে হবে।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
<span style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #993300; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;"><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">(</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">২</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">) </strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">স্বাভাবিক কারণ</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">:</strong></span> যেমন: পানি পান পিপাসা নিবারণের কারণ, পোষাক পরিধান শীত নিবারণের কারণ। অনুরূপভাবে বিভিন্ন উপাদান দিয়ে তৈরী ওষুধও স্বাভাবিক কারণ হিসাবে গণ্য হবে। এ দুই প্রকার কারণের মধ্যকার সম্পর্ক হচ্ছে, শরী‘আত অনুমোদিত প্রত্যেকটি কারণই স্বাভাবিক কারণ; কিন্তু প্রত্যেকটি স্বাভাবিক কারণই শরী‘আত অনুমোদিত কারণ নয়। স্বাভাবিক কারণসমূহের মধ্যে যেগুলি গ্রহণের প্রতি শরী‘আত উৎসাহিত করেছে, সেগুলি গ্রহণের অর্থই হচ্ছে আল্লাহ্‌র শরণাপন্ন হওয়া। কেননা তিনিই এগুলির মধ্যে বিশেষ গুণ দান করেছেন। ইচ্ছা করলে তিনি আবার এগুলির গুণ ও বিশেষত্ব উঠিয়েও নিতে পারেন, ঠিক যেমনিভাবে তিনি আগুনের পুড়িয়ে ফেলা বৈশিষ্ট্যটিকে ইবরাহীম আলাইহিস সালামের জন্য উঠিয়ে নিয়েছিলেন।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
<strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">মোদ্দাকথা:</strong> বিভিন্ন কারণ এবং মাধ্যমের ক্ষেত্রে আমাদেরকে অবশ্যই তিনটি বিষয়ের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে:</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
<span style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #993300; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;"><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">এক:</strong></span> ইসলামী শরী‘আত কারণ হিসাবে নির্ধারণ করেনি এমন কোনো কারণকে কারণ হিসাবে গ্রহণ করা যাবে না।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
<span style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #993300; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;"><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">দুই:</strong></span> ইসলামী শরী‘আতে অনুমোদিত কোনো কারণকে কারণ হিসাবে গ্রহণ করলেও তার উপর নির্ভর করা যাবে না; বরং নির্ভর করতে হবে এসব কারণের সৃষ্টিকর্তা একমাত্র মহান আল্লাহ্‌র উপর।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
<span style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #993300; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;"><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">তিন:</strong></span> এসব কারণ যতই বড় এবং শক্তিশালী হোক না কেন, এসবগুলির সাথে রয়েছে তাক্বদীরের নিবিড় সম্পর্ক; এসব কারণ তাক্বদীরের বাইরে নয়। সুতরাং আল্লাহ যেভাবে ইচ্ছা সেগুলিতে কর্তৃত্ব করে থাকেন।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
তাবীয জড় পদার্থ, যার নিজস্ব কোনো প্রভাব নেই এবং রোগমুক্তির সাথে যার সামান্যতম কোনো সম্পর্কও নেই। কেননা আল্লাহ তাবীযকে অকল্যাণ দূরীকরণের কারণ হিসাবে যেমন নির্ধারণ করেন নি, তেমনি তা স্বাভাবিক কারণ হিসাবেও পরিগণিত নয়। সেজন্য তাবীযের উপর নির্ভর করার অর্থ হচ্ছে মুশরিকদের মত মৃত ব্যক্তি, মূর্তি ইত্যাদির উপর নির্ভর করা, যেগুলি শোনে না, দেখে না, কোনো লাভ-ক্ষতিও করতে পারে না। অতএব, তাবীয ব্যবহারকারীকে অবশ্যই শার‘ঈ উপায় গ্রহণ করতে হবে। আর শার‘ঈ উপায়ের মানদণ্ড হচ্ছে, তার সপক্ষে দলীল প্রমাণিত হতে হবে। অতএব, যেহেতু তাবীয রোগমুক্তির কারণ হওয়ার সপক্ষে কোনো দলীল প্রমাণিত হচ্ছে না, সেহেতু তা কখনই রোগমুক্তির কারণ হিসাবে গণ্য হবে না।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
<span style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #993300; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;"><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">তাবীযের সপক্ষে পেশকৃত দু</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">’</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">টি বর্ণনা</strong></span></div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
১. আমর ইবনে শু‘আইব তাঁর পিতার সূত্রে তাঁর দাদা থেকে বর্ণনা করেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, ‘তোমাদের কেউ যখন ঘুমের ভেতর ভয় পায়, তখন সে যেন বলে,</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: center;">
<strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">«</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّاتِ مِنْ غَضَبِهِ وَعِقَابِهِ وَشَرِّ عِبَادِهِ وَمِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِينِ وَأَنْ يَحْضُرُونِ</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">»</strong></div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
তাহলে ঐ ভয়ের বিষয়টি কখনই তার কোনো ক্ষতি করতে পারবে না’। সেজন্য আব্দুল্লাহ ইবনে আমর তার প্রাপ্ত বয়ষ্ক সন্তানদেরকে এই দু‘আটি শিখাতেন। আর অপ্রাপ্ত বয়ষ্ক সন্তানদের গলায় দু‘আটি লিখে ঝুলিয়ে দিতেন[9]।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
বস্তুত হাদীসটি দুর্বল। কারণ হাদীছটির সনদে মুহাম্মাদ ইবনে ইসহাক রয়েছেন, যিনি ‘মুদাল্লিস’ (مدلس) এবং তিনি হাদীছটিকে ‘আন্‌‘আনা’ (عنعنة) বা ‘আন্‌’ (عن) শব্দ ব্যবহারের মাধ্যমে বর্ণনা করেছেন। আর কোনো মুদাল্লিস বর্ণনাকারী ‘আন্‌’ শব্দের মাধ্যমে হাদীছ বর্ণনা করলে তা গ্রহণযোগ্য হয় না।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
তিরমিযী বলেন,  হাদীছটি ‘হাসান-গরীব’।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
শাওকানী বলেন, হাদীছটির সনদে মুহাম্মাদ ইবনে ইসহাক রয়েছেন, যাঁর সম্বন্ধে উলামায়ে কেরামের বক্তব্য প্রসিদ্ধ[10]।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
আলবানী বলেন, হাদীছটি ‘হাসান’, তবে বর্ণনায় আসা ‘আব্দুল্লাহ ইবনে আমর তার প্রাপ্তবয়ষ্ক সন্তানদেরকে এই দু‘আটি শিখাতেন, অপ্রাপ্ত বয়ষ্ক সন্তানদের গলায় দু‘আটি লিখে ঝুলিয়ে দিতেন’ হাদীছের এ বাক্য ছাড়া[11]। অতএব, হাদীছের উল্লেখিত বাক্য গ্রহণযোগ্য নয়।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
২. আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা বলেন, বালা-মুছীবত আসার আগে যা ঝুলানো হয়, তা হচ্ছে তাবীয। কিন্তু বালা-মুছীবত আসার পরে যা ঝুলানো হয়, তা তাবীয নয়।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
উক্ত বর্ণনায় আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা-এর উদ্দেশ্য হচ্ছে, কুরআন থেকে তৈরীকৃত তাবীয। তাঁর মতে, বালা-মুছীবত এসে যাওয়ার পরে কুরআনের আয়াত তাবীয হিসাবে ঝুলানো যাবে, বালা-মুছীবত আসার আগে নয়। উক্ত বর্ণনায় আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা-এর সর্ব প্রকার তাবীযের বৈধতা প্রদান উদ্দেশ্য নয়। কেননা কুরআন দিয়ে তৈরী তাবীয ছাড়া অন্যান্য সর্বপ্রকার তাবীয যে সর্বাবস্থায় শির্ক তা আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা-এর মত ব্যক্তিত্বের কাছে গোপন থাকার কথা নয়।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
<span style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #993300; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;"><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">শরী</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">‘</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">আত সম্মত ঝাড়-ফুঁক প্রসঙ্গ</strong></span></div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
শরী‘আত নির্দেশিত পদ্ধতিতে কুরআন এবং ছহীহ সুন্নাহ থেকে গৃহীত দু‘আর মাধ্যমে আল্লাহ্‌র কাছে আক্রান্ত ব্যক্তির আরোগ্য লাভের প্রত্যাশায় যে ঝাড়-ফুঁক করা হয়, তা-ই শরী‘আত সম্মত ঝাড়-ফুঁক। ইসলামী শরী‘আতে নির্দিষ্ট শর্তসাপেক্ষে এই ঝাড়-ফুঁক বৈধ করা হয়েছে। নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে যেমন ঝাড়-ফুঁক করেছেন, তেমনি তিনি ঝাড়-ফুঁক নিয়েছেন। ‘আউফ ইবনে মালেক আল-আশজা‘ঈ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, জাহেলী যুগে আমরা ঝাড়-ফুঁক করতাম। ইসলাম পরবর্তী যুগে রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আমরা জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহ্‌র রাসূল! ঝাড়-ফুঁকের ব্যাপারে আপনার মন্তব্য কি? তিনি বললেন, ‘তোমাদের ঝাড়-ফুঁকে পঠিত বিষয়গুলিকে আমার কাছে পেশ কর। ঝাড়-ফুঁকে যদি শির্কের সংমিশ্রণ না থাকে, তবে তাতে কোনো দোষ নেই’[12]।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
<span style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #993300; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;"><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">ঝাড়</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">–</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">ফুঁকের প্রকারভেদ</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">:</strong></span> ঝাড়-ফুঁক সাধারণতঃ চার রকমের হয়ে থাকে:</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
১. শির্কী ও কুফরী শব্দ ব্যবহারের মাধ্যমে ঝাড়-ফুঁক করা অথবা উপকার-অপকারকে ঝাড়-ফুঁকের দিকে সম্পর্কিত করা। এই প্রকারের ঝাড়-ফুঁক কুফর এবং শির্ক বলে গণ্য।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
২. এমন কিছু শব্দের মাধ্যমে ঝাড়-ফুঁক করা, যার অর্থ বোধগম্য নয়। এই প্রকারের ঝাড়-ফুঁক শির্কের মাধ্যম এবং হারাম।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
৩. আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নাম, যেমন: ফেরেশতা, নবী বা ইসলামে সম্মানিত অন্য কারো নামের মাধ্যমে ঝাড়-ফুঁক করা। এই প্রকার ঝাড়-ফুঁকও বৈধ নয়। আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নামে শপথ করার যে বিধান, এই প্রকার ঝাড়-ফুঁকেরও সেই একই বিধান।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
<strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">৪</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">. </strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">আল্লাহ্</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">‌</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">র নাম বা তাঁর কালাম অথবা রাসূল </strong>সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম<strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;"> প্রদর্শিত হাদীছের মাধ্যমে ঝাড়</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">–</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">ফুঁক করা</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">।</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;"> এই প্রকার ঝাড়</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">–</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">ফুঁক শরী</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">‘</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">আতসম্মত</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">।</strong></div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
<span style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #993300; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;"><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">শরী</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">‘</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">আত সম্মত ঝাড়</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">–</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">ফুঁকের শর্ত</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">: </strong></span>ঝাড়-ফুঁক শরী‘আত সম্মত হতে হলে তাতে বেশ কিছু শর্ত থাকা যরূরী। যেমন:</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
(১) ঝাড়-ফুঁক আরবী ভাষায় অথবা যে কোনো বোধগম্য ভাষায় হতে হবে।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
(২) ঝাড়-ফুঁকে যা পড়া হবে, তা শরী‘আতে অনুমোদিত হতে হবে।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
(৩) ঝাড়-ফুঁকের যে নিজস্ব কোনো প্রভাব এবং ক্ষমতা নেই, তা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করতে হবে।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
<span style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #993300; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;"><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">শরী</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">‘</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">আতসম্মত ঝাড়</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">–</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">ফুঁকের পদ্ধতি</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">:</strong></span> কুরআন-হাদীছের বহু দলীল প্রমাণ করে যে, নিজের জন্য নিজের ঝাড়-ফুঁক সবচেয়ে বেশী উপকারী, যদিও মানুষ এর বিপরীতটা মনে করে এবং ঝাড়-ফুঁক প্রদানকারীকে খুঁজে বেড়ায়। এক্ষেত্রে তারা এমনকি মূর্খ, ভেলকিবাজ বা জাদুকরের কাছে যেতেও কুণ্ঠা বোধ করে না। শার‘ঈ ঝাড়-ফুঁক চোখ লাগা, জাদু এবং নানাবিধ মানসিক ও শারীরিক অসুখ-বিসুখ দূরীকরণে ফলপ্রসূ। চিকিৎসা বিজ্ঞান পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও অনুশীলনের উপর নির্ভরশীল। শরী‘আত সম্মত ঝাড়-ফুঁক যেহেতু অতীব গুরুত্বপূর্ণ একটি চিকিৎসা জগৎ, সেহেতু এখানেও পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও অনুশীলনের গুরুত্ব কম নয়। অতএব, ঝাড়-ফুঁকের ক্ষেত্রে কোনো পদ্ধতি যদি পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে উপকারী প্রমাণিত হয় এবং তাতে শরী‘আত পরিপন্থী কোনো কিছু না থাকে, তবে তা বৈধ। যাহোক, বিভিন্নভাবে ঝাড়-ফুঁক করা যেতে পারে। যেমন:</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
১. রোগীর গায়ে ফুঁ এবং হাত দিয়ে স্পর্শ ছাড়াই আয়াত বা মাসনূন দু‘আ পড়া। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কোনো রোগী দেখতে যেতেন বা তাঁর কাছে রোগী আনা হত, তখন তিনি বলতেন,</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: center;">
«أَذْهِبِ البَاسَ رَبَّ النَّاسِ، اشْفِ وَأَنْتَ الشَّافِي، لاَ شِفَاءَ إِلَّا شِفَاؤُكَ، شِفَاءً لاَ يُغَادِرُ سَقَمًا»[13]</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
২. রোগীর গায়ে হাত দিয়ে স্পর্শসহ আয়াত বা মাসনূন দু‘আ পড়া। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম কারো ঝাড়-ফুঁক করলে তাকে ডান হাত দিয়ে স্পর্শ করে বলতেন,</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: center;">
«أَذْهِبِ البَاسَ رَبَّ النَّاسِ، اشْفِ وَأَنْتَ الشَّافِي، لاَ شِفَاءَ إِلَّا شِفَاؤُكَ، شِفَاءً لاَ يُغَادِرُ سَقَمًا»[14]</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
৩. স্পর্শ এবং ফুঁসহ আয়াত বা মাসনূন দু‘আ পড়া। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন অসুস্থতা অনুভব করতেন, তখন সূরা ইখলাছ, নাস, ফালাক্ব পড়ে নিজের গায়ে ফুঁ দিতেন এবং হাত দিয়ে স্পর্শ করতেন[15]।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
৪. পানিতে বা তেলে আয়াত বা মাসনূন দু‘আ পড়ে তা পান করা বা ব্যবহার করা। রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছাবেত ইবনে ক্বায়েস ইবনে শাম্মাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু–এর জন্য পানি পড়ে তা তার গায়ে দিয়ে দেন[16]। আমাদের সালাফে ছালেহীন এই পদ্ধতি ব্যবহার করতেন।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
ঝাড়-ফুঁকের সময় পবিত্র কুরআনের অনেক সূরা ও আয়াত পড়া যায়, তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে,</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
<span style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #993300; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;"><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">সূরা ফাতেহা</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">:</strong></span> ঝাড়-ফুঁকের মাধ্যমে চিকিৎসার ক্ষেত্রে আল্লাহ্‌র ইচ্ছায় সূরা ফাতিহা অত্যন্ত ফলপ্রসূ। আবূ সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, একদল ছাহাবায়ে কেরাম কোনো এক সফরে ছিলেন। একটি আরব গোত্রের গোত্র প্রধান দংশিত হলে একজন ছাহাবী সূরা ফাতিহার মাধ্যমে তাকে ঝাড়-ফুঁক করেন এবং আল্লাহ্‌র ইচ্ছায় সে সুস্থ হয়ে উঠে। খবরটি রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম–এর কাছে পৌঁছলে তিনি তা সমর্থন করেন[17]।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
<span style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #993300; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;"><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">আয়াতুল</strong> <strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">কুরসী</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">:</strong></span> ঘুমের সময় এবং বাসা-বাড়ীতে আয়াতুল কুরসী পাঠ করলে তা আল্লাহ্‌র ইচ্ছায় শয়তান ও অন্যদের থেকে রক্ষাকবচ হয়। আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যখন তুমি তোমার বিছানায় ঘুমাতে যাবে, তখন আয়াতুল কুরসী পড়বে; তাহলে সকাল পর্যন্ত আল্লাহ্‌র পক্ষ থেকে তোমার জন্য একজন হেফাযতকারী রাখা হবে এবং শয়তান তোমার নিকটবর্তীও হতে পারবে না[18]।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
অন্য বর্ণনায় এসেছে, আবূ আইয়ূব আনছারী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, বাসা-বাড়ীতে আয়াতুল কুরসী পড়বে, তাহলে শয়তান তোমার নিকটবর্তী হতে পারবে না[19]।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
সকাল-সন্ধ্যায় আয়াতুল কুরসী পড়লে তা শয়তান থেকে বাঁচার কারণ হয়। কেউ তা সন্ধ্যায় পড়লে সকাল পর্যন্ত এবং সকালে পড়লে সন্ধ্যা পর্যন্ত তার হেফাযত করা হয়[20]।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
<span style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #993300; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;"><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">সূরা ফালাক্ব ও সূরা নাস</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">:</strong></span> এ সূরাদ্বয় আল্লাহ্‌র ইচ্ছায় জিন এবং চোখ লাগা বা বদনযর থেকে হেফাযতকারী। আবূ সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিন ও বদনযর থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করতেন। যখন এই সূরা দু’টি নাযিল হল, তখন তিনি অন্য সবকিছু ছেড়ে এ দু’টি গ্রহণ করলেন[21]।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
এ সূরা দু’টি বিভিন্ন বিপদাপদ, বালা-মুছীবত থেকে আল্লাহ্‌র নিকট আশ্রয় প্রার্থনার সর্বোত্তম হাতিয়ার[22]।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
<span style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #993300; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;"><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">সূরা এখলাছ</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">, </strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">ফালাক্ব ও নাস</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">:</strong></span> এ সূরা তিনটি সকাল-সন্ধ্যায় তিনবার করে পাঠ করলে আল্লাহ্‌র ইচ্ছায় এগুলি যে কোনো বিপদাপদ থেকে মুক্তির জন্য যথেষ্ট হবে[23]।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
এ সূরা তিনটি বিভিন্ন বিপদাপদ, বালা-মুছীবত থেকে আল্লাহ্‌র নিকট আশ্রয় প্রার্থনার সর্বোত্তম হাতিয়ার[24]।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
অসুখ-বিসুখ হলে এই সূরাগুলি দিয়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঝাড়-ফুঁক করতেন[25]।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
<span style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #993300; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;"><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">সূরা কাফেরূন</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">:</strong></span> ঘুমের আগে এই সূরাটি পড়লে তা শির্ক থেকে মুক্তির কারণ হবে। ফারওয়া ইবনে নাওফাল তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেন, তাঁর পিতা রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম–এর কাছে এসে বললেন, হে আল্লাহ্‌র রাসূল! আমাকে এমন কিছু শিক্ষা দিন, যা আমি ঘুমানোর সময় পড়তে পারি। তিনি বললেন, তুমি ﭑ  ﭒ  ﭓ     শেষ পর্যন্ত পড়ে ঘুমাবে, তাহলে তা শির্ক থেকে মুক্তির কারণ হবে[26]। হাদীছটিতে শির্কের মত মারাত্মক রোগ থেকে মুক্তির পথ বাৎলে দেওয়া হয়েছে।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
<span style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #993300; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;"><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">সূরা বাক্বারা: </strong></span>কোনো বাড়ীতে সূরা বাক্বারা পাঠ করলে শয়তান সেই বাড়ী থেকে পালিয়ে যায়[27]। এই সূরায় যেমন রয়েছে বরকত, তেমনি তা জাদুকরদের শক্তি খর্ব করতে পারে[28]।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
<span style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #993300; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;"><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">সূরা বাক্বারার শেষ দুই আয়াত:</strong> </span>যে ব্যক্তি রাতে এই আয়াত দু’টি পড়বে, তার জন্য এ দু’টি বালা-মুছীবত, শয়তান ইত্যাদি থেকে বাঁচার ক্ষেত্রে যথেষ্ট হবে। আবূ মাসঊদ উক্ববা ইবনে আমর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি রাতে সূরা বাক্বারার শেষ দুই আয়াত পড়বে, তার জন্য এ দু’টি যথেষ্ট হবে[29]।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
কোনো গৃহে এই আয়াত দু’টি তিন রাত পড়লে শয়তান ঐ গৃহের নিকটবর্তীও হতে পারবে না[30]।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
কোনো রোগীকে ঝাড়-ফুঁক করার সময় বলবে,</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: center;">
«بِسْمِ اللهِ أَرْقِيكَ، مِنْ كُلِّ شَيْءٍ يُؤْذِيكَ، مِنْ شَرِّ كُلِّ نَفْسٍ أَوْ عَيْنِ حَاسِدٍ، اللهُ يَشْفِيكَ بِسْمِ اللهِ أَرْقِيكَ»[31]</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
শরীরের কোথাও ব্যথা অনুভব করলে ব্যথার স্থানে হাত রেখে ৩ বার بِسْمِ اللهِ  বলবে এবং ৭ বার নিম্নোক্ত দু‘আটি পড়বে:</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: center;">
<span style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: blue; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">«أَعُوذُ بِاللهِ وَقُدْرَتِهِ مِنْ شَرِّ مَا أَجِدُ وَأُحَاذِرُ»</span></div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
এছাড়া আরো অনেক আয়াত ও দু‘আ রয়েছে, যেগুলি দিয়ে ঝাড়-ফুঁক করা যায়। অনুরূপভাবে সকাল ও সন্ধ্যায় পঠিতব্য যিকর-আযকার ও দু‘আসমূহ আল্লাহ্‌র ইচ্ছায় আমাদেরকে শয়তানের কুমন্ত্রণা এবং নানা শারীরিক ও মানসিক রোগ-ব্যাধি থেকে রক্ষা করতে পারে।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
পরিশেষে, মহান আল্লাহ্‌র কাছে ফরিয়াদ জানাই, তিনি আমাদেরকে যাবতীয় শির্ক, বিদ‘আত, বিভ্রান্তি ও কুসংস্কার থেকে রক্ষা করে নির্ভেজাল তাওহীদের উপর আমাদের মৃত্যু দান করুন এবং পরকালে জান্নাতুল ফেরদাউস নছীব করুন। আমীন!</div>
<hr style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;" />
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
[1] <em style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">(</em><em style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">মুস্তাদরাক হাকেম, </em><em style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">তিনি হাদীছটিকে ‘</em><em style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">ছহীহুল ইসনাদ’ </em><em style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">বলেছেন এবং যাহাবী তাঁর বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন</em><em style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">।</em> <em style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">আলবানী ‘</em><em style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">সিলসিলা ছহীহাহ’</em><em style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">তে হাদীছটি নিয়ে এসেছেন, </em><em style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">হা/</em><em style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">৩৩১)</em>।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
[2] (মুসনাদে আহমাদ, ১৫৬/৪; সিলসিলাহ ছহীহাহ, হা/৪৯২)।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
[3] মুস্তাদরাক হাকেম, তিনি হাদীছটিকে ‘ছহীহুল ইসনাদ’ বলেছেন এবং যাহাবী তাঁর বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন। আলবানী ‘সিলসিলা ছহীহাহ’ তে হাদীছটি উল্লেখ করেছেন, (হা/৩৩১)</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
[4] আলবানী, ছহীহুত-তারগীব ওয়াত-তারহীব, (হা/৩৪৫৬)।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
[5] তিরমিযী, (হা/২০৭২; আহমাদ, ৪/৩১০; গায়াতুল মারাম, (হা/২৯৭)।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
[6] তাইসীরুল আযীযিল হামীদ, পৃ: ১৩৬-১৩৮)</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
[7] (মা‘আরেজুল ক্ববূল, ২/৫১০-৫১২)।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
[8] (আল-মাজমূ আছ-ছামীন, ১/৫৮)।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
[9] আবু দাঊদ, হা/৩৮৯৩; তিরমিযী, হা/৩৫২৮; আহমাদ, হা/৬৬৯৬।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
[10] ফাতহুল ক্বাদীর, হা/৩৫৮৮।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
[11] (ছহীহ তিরমিযী হা/৩৫২৮; সিলসিলা ছহীহাহ, ১/৫২৯)।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
[12] (ছহীহ মুসলিম, হা/২২০০)।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
[13] (বুখারী, হা/৫৬৭৫)।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
[14] (বুখারী, হা/৫৭৫০)।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
[15] (বুখারী, হা/৫৭৫১; মুসলিম, হা/২১৯২)।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
[16] (আবূ দাঊদ, হা/৩৮৮৫)।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
[17] (বুখারী, হা/৫৭৪৯; মুসলিম, হা/২২০১)।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
[18] (বুখারী, হা/২৩১১, ৫০১০)।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
[19] (তিরমিযী, আহমাদ, শায়খ আলবানী হাদীছটিকে ছহীহ বলেছেন, ছহীহ তিরমিযী, হা/ ২৮৮০ ও ছহীহ তারগীব ওয়া তারহীব, হা/ ১৪৬৯ দ্র:)।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
[20] (ছহীহ তারগীব, হা/ ৬৬২, ১৪৭০; সিলসিলা ছহীহাহ, হা/৩২৪৫)।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
[21] (আলবানী, ছহীহ তিরমিযী, হা/২০৫৮; ছহীহ ইবনে মাজাহ, হা/২৮৪৬)।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
[22] (আলবানী, ছহীহ আবূ দাঊদ, হা/১৪৬৩)।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
[23] (ছহীহ আবূ দাঊদ, হা/৫০৮২; ছহীহ তিরমিযী, হা/৩৫৭৫)।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
[24] (নাসাঈ, হা/৭৮৪৫; হায়ছামী, মাজমা‘উয-যাওয়ায়েদ, ৭/১৫২, তিনি বলেন, হাদীছটি বাযযার বর্ণনা করেন এবং এর বর্ণনাকারীগণ ছহীহ বুখারীর বর্ণনাকারী)।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
[25] (বুখারী, হা/৫০১৬; মুসলিম, হা/২১৯২)।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
[26] (ছহীহ তিরমিযী, হা/৩৪০৩; ছহীহ আবূ দাঊদ, হা/৫০৫৫)।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
[27] (মুসলিম, হা/৭৮০; তিরমিযী, হা/২৮৭৭)।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
[28] (মুসলিম, হা/৮০৪)।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
[29] (বুখারী, হা/৫০০৮; মুসলিম, হা/৮০৮)।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
[30] (ছহীহ তিরমিযী, হা/২৮৮২; হাকেম, ২/২৬০)।</div>
<div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;">
[31] (ছহীহ মুসলিম, হা/২১৮৬)।</div>
<br style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;" /><div class="box shadow  " style="background-color: #f6f6f6; border: 1px solid rgb(221, 221, 221); box-shadow: rgba(153, 153, 153, 0.6) 0px 0px 5px; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px 0px 20px; outline: none; padding: 20px; word-wrap: break-word;">
<div class="box-inner-block" style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; min-height: 50px; outline: none; padding: 0px;">
<span class="fa tie-shortcode-boxicon" style="-webkit-font-smoothing: antialiased; border: 0px none; box-sizing: border-box; display: inline-block; float: left; font-family: FontAwesome; font-size: inherit; font-stretch: normal; line-height: 1; list-style: none; margin: 0px 0px 0px -70px; outline: none; padding: 0px; text-rendering: auto;"></span><span style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #ff3300; font-size: large; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">'আপনিও হোন ইসলামের প্রচারক'</span><span style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #993300; font-size: x-small; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;"> <b style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;"><br style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;" />প্রবন্ধের লেখা অপরিবর্তন রেখে এবং উৎস উল্লেখ্য করে </b>আপনি Facebook, Twitter, ব্লগ, আপনার বন্ধুদের Email Address সহ অন্য Social Networking ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন, মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন। "কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা" [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪]</span></div>
</div>
</div>
</div>

শার‘ঈ মানদণ্ডে তাবীয-কবচ এবং ঝাড়-ফুঁক

Abdullah Rafan April 19, 2015 শির্‌ক ও বিদআত 2,272 post views Download article as PDF প্রবন্ধটি পড়া হলে, শেয়ার করতে ...

Islamic Wallpaper